অটোয়া, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
মুক্তির উদ্দেশ্যে - গোলাম রববানী

র কতটা গ্লানির আঘাত পেরুলে 
হে পৃথিবী! মৃত্তিকার মতন অবিনশ্বর ভালোবাসায়
তোমার আয়ু বাড়বে নীল বাষ্পের চেহারায় 
তুমি কী বলতে পারো বাত! বাতাবরণ সুরে!

খইফোঁটা এক ছাউনি টিনের জীর্ণ-শীর্ণ ঘরে
জল থামা সন্ধেবেলায় তুমি আনমনে আসতে! 
ভাদরের কিচিরমিচির রাতচোরার কলকাকলিতে 
মুখরিত উৎসবের হাওয়ায় হাওয়ায় ভেসে 
বুনো হাওয়ার বুকে সজোরে পদাঘাত তলিয়ে;
দূর নীলিমায় আচমকা হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে
মেঘাচ্ছন্ন দুধসাদা মেঘের কাছে গিয়ে চেয়ে বসলে
হে দুধসাদা মেঘমালা!তুমি কী দিতে পারবে একবিন্দু 
জল! বজরা, প্রমোদ তরী, রণতরী কিংবা টাইটানিক 
অথবা সাবমেরিন ডুবায়ে দেশমাতৃকার মুক্তির 
আকুতিভরা টলটলে সবুজাভায় গাইতে দেব গান!
কনসার্ট ফর বাংলাদেশ! এমনকি রাজনীতির কবির
বজ্রকণ্ঠ ধ্বনিতে উত্তল মার্চের জনস্রোতের স্বাধীনতার 
গান! বেজায় নিরানন্দে বলে দিলে তুমি কি দুখিনীর
উনুনে টগবগিয়ে ফোটা তপ্ত হাঁড়ির বাষ্প হতে পারবে?
থাক সে কথা- এবার না হয় গাইতে দিও টুনটুনির
মুক্ত আকাশে মুক্তির সব গান!

নিঃশঙ্ক চিত্তে নির্ভয়ে গাইতে দিও 
মুক্তিকামী কোটি কোটি শিরীষকুসুমে
কিংবা মাকড়সা 
অথবা পিঁপড়ের শারীরবৃত্তীয় ধর্মাবলীর সুর!
কৌতূহলোদ্দীপক! অত্যুক্তি হবে না নিগূঢ় 
রহস্যের গণ্ডিতে হে ভয়ালযুদ্ধ অদৃশ্য ছোঁয়া! 

আবারও স্বাধীনতা দিনের সংকলন হবে
হবে মুক্ত হবে অহংকার জাগ্রত জনতার 
গগনতলে
শূন্যতায় 
কিংবা সপ্ত নরকে মুক্তির ঠিকানা!

গোলাম রববানী 
কেশবপুর, যশোর
বাংলাদেশ