অটোয়া, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
জহুরুল ইসলাম এর কয়কেটি কবিতা

রসপিঠা রোদ
মোরগের কোলাহলে চোখে ঘুম ঝরে,
ভোরের শীতল বায়ু 
বয়ে যায়।
তারপর- আসে রসপিঠা রোদ,
শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
পাখির ছানার মতো ওম নেই টেনে,
কিংবা খড়ের সাজালে
আগুন পোহাই।

এখন তো মানুষের বুকে 
উষ্ণতার হাহাকার,
বুকে যেন সূর্য পুষে রাখে।

হরিণ চোখ
দূরন্ত হরিণ চোখে হঠৎ যখন চোখ পড়ে,
তখন সরিষা ফুল ফোটে ।
লাল জলে ঢেউ ওঠে,
নদীতে পাড় ভাঙার শব্দ হয় খুব।

এখন প্রজাপতির বুকে বিষাক্ত সাপের ফণা,
অবিরত সে ছোবল দেয়-
আর- বাতাসে ছড়ায়
বিষদের কণা।

তবু তোমার হরিণ চোখ
আমার এ অন্ধকার আকাশের আলো।

সবুজ স্বর্গের ছায়া
ল্কার মতো হয়ে দেখা দিলো সে,
ভাবিনি এতোটা আলো ছড়িয়ে দেবে।
আজো আমার উঠোনের আঙিনায়
তার ঝলসানো আলো।

ফুলের সৌরভে মেতে আছে
পৃথিবীর ধার। 
তার সাথে প্যারিস রোডে হেঁটেছিলাম,
তারপর সবুজ স্বর্গে।
তখনও সন্ধ্যেবেলার আলোটুকু
আকাশের গায় লেগে আছে।

বিশুদ্ধ চিন্তার ভেতর-
সবুজ স্বর্গ ছেড়ে চলে এলাম দূুরে
আজো সবুজ স্বর্গের ছায়া মনে পড়ে...

জহুরুল ইসলাম
মির্জাপুর, দাপুনিয়া
পাবনা সদর, পাবনা