অটোয়া, শুক্রবার ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
আগুন বসন্তে আমার স্বাধীনতা - মুতাকাব্বির মাসুদ

যুদ্ধের কালে তাঁর আগুনচোখের আঙিনায়
রক্তকরবীর ঘর ছিলো 
সবুজ পাতার দোল ছিলো
বাসন্তী শরীরে ফাগুনের চোখ তাঁর
লাল পলাশের দাফন
দেখেছি সেদিন; দেখেছি কমলাবনের রোদ
ভরা গাঙ্গে বসন্তের প্লাবন
নীল বেদনের শুকনো পাতা
শিরায় শিরায় শিহরণ
সব ছিলো তাঁর দ্রোহের কুঞ্জে
নীল প্রজাপতির মরণ

ফাগুনের আগুন হাওয়ায় রক্তবুক
সাদা তুলা শিমুলের ডাল
উত্তাল-উদ্দাম রাক্ষুসে হাওয়া
কাফনের রঙে মরণের বারতা
বসন্তকালে শ্যামলীর ঘরে
কোনো এক চোখভেজা সকালে-ক্ষুধার চিকণ ভাঁজে
তপ্ত উনুনে যৌবনের রুটি সেঁকে
তুলে রাখে শূন্য হাড়িতে কত!
অনঘ দেহের আঁচল; সেঁজুতির আড়াল
অসুয়া যুদ্ধের কালে-দিনের শেষে ক্লান্ত বিকেল
রক্তের গন্ধ কাকের মগজে
সব প্রজাপতি ঘরে ফেরে- ফেরা হয়না আমার

দেখি অনক্ত সময়ে লাখো পলাশ
ঠোঁটে নিরক্ত আগুন বসন্ত
লাল চন্দনার সবুজ পেখম
রক্তে ভেজা আমার স্বাধীনতা
কালনিশিতে নীল সমুদ্র-মুক্ত উদ্ধত তরঙ্গ
সাদাসাদা শুভ্র ফেনা
পুরনারী সাদা শাড়ি-নকশি কাঁথায় বিজয়ের গন্ধ

নিস্পন্দ সন্ধ্যার চিকণ শরীরের ভাঁজে
রক্তচোষা কীটের নৃত্য-নিরাশার বুকে রক্ত ওম
নিস্পন্দ স্বপ্নরা নেচে ওঠে আশার বাঁকে
দূর আকাশে নীল অলিন্দ
নক্ষত্রে ঘেরা সবক'টা জানালা আজো খোলা
তারায় তারায় আমাকে খুঁজে শ্যামলী
আমার আর চুপিচুপি আসা হয় না!
তবুও তাঁর চোখের তারায় 
আজো জেগে আছে আমার স্বাধীনতা!

মুতাকাব্বির মাসুদ
শ্রীমঙ্গল, বাংলাদেশ