অবিচল আমিআমার নতজানু হয়ে শুয়ে থাকা স্রোতসলিলা নদীর তরঙ্গ বুকে চলমান সভ্যতার করি এপার ওপারহয় বুঝি তাদের নব উত্তরণ।মাঝে মাঝে ঝিম ধরে শরীর প্রত্যঙ্গেশ্যাপলার আস্তরণ অক্টোপাস শরীর জুড়ে চলে অবাধ শোষন,তবুও আমি থাকি তোমাদের সুখে।উত্তুঙ্গ ঢেউয়ের অভিঘাতদুমড়ে মুচড়ে একাকার করে ;মাঝে মাঝে শুনি ঘোর আস্ফালনঅবিচল আমি,কর্তব্য পরায়নতায়।তোমাদের সেতু বাঁধিরচি এক মানব শৃঙ্খল আজীবন ভাসাময় জীবন নিয়ে। বিলীনের ডাকটুপটাপ জলের মতোই ঝরে যাচ্ছে জীবন,মহাসমুদ্র হা করে আছেশরীরের মাঝে বিলীন করার অপেক্ষায়।নিলাম হওয়া চোখ ভুলেছে ঝরে যাওয়া জলের শোক বুঝিনা তো কিছুই কার মন কখন কী অন্তরাত্মার কাছে চায়!আমরা বড্ড একপেশে হয়েগেছিআত্মমগ্ন মনের গহীনে ডুবে আছি সারাক্ষণ।শোক তাপ নিবারণ করে সুখের সমুদ্রে ভাসিয়ে দিচ্ছি বিভাষিত মনকিন্তু আর কতক্ষণ!ওই শোন, মহা সমুদ্রে উঠেছে তুফান জলবিন্দু বিলীনের ডাক এসে গেছে।প্রবীর রঞ্জন মণ্ডল দঃ২৪ পরগনাপশ্চিমবঙ্গ,ভারত
Ashram Bengali Magazine, Ottawa