অটোয়া, রবিবার ৪ জুন, ২০২৩
সুখের বাড়ি-ঘর - এম এ রফিক

ভীড় করে কত সুখের স্বপন,
হৃদয় মাঝের আংগিনায়,
নানান রং এ খেলা করে,
কত না মধুর ভংগিমায়!

নীল চাদরে ঢেকে তাকে,
প্রানে দিও ঠাঁই,
দেখবে তখন তোমার মত,
সুখী তো কেও নাই!

দেখবে যখন মধুর স্বপন,
ফাগুন-নিশী রাতে,
উঠলে ঘুমে স্মৃতিচারন
করবে তারই সাথে!

ধরা দিবে সুখপাখিটা,
তোমারই অন্তরে,
খুঁজেছো তুমি যাকে আগে,
শহর, নদী-বন্দরে!

কুঁড়েঘরের আকাশ কোনে,
জোছনা করে খেলা,
সুখ চেননা তবুও খুঁজে,
বৃথাই কাটাও বেলা!

কোন রংএর সুখ তুমি চেন?
বলতে কি আর পারো?
কেনই বা সুখ ধরতে সময়,
অযথা নস্ট করো?

তিনবেলাতে পারো খেতে,
যদিও কুঁড়েঘর,
সুখ চিনে না ঘর-বাড়ি আর,
চিনেনা আপন-পর!

মনের মাঝেই স্থান দিও তাকে,
রেখো বন্দী করে,
পুলকিত মনে এগিয়ে গেলেই,
থাকবে সুখটা ঘরে!

হাজার ফুলের সুবাস কেহ,
নিতে নাহি পারে,
একটি গোলাপ অন্তরমাঝে,
থাকে আলো করে!

স্বর্নখোচিত পালংকে শুয়ে,
ঘুম যদি না আসে?
সেই তো সুখী, মাদুর পেতে,
ঘুমিয়ে পড়ে ঘাসে!

টাকা-পয়সা, সুন্দর বাড়ি,
ক্ষেত্রভেদে নারী,
এদের মাঝে থাকেনা সদাই,
সুখ-পাখিদের বাড়ি!

খুঁজে দেখ ভাংগা বেড়ার,
কুঁড়ে ঘরের মাঝে,
সুখ পাখিরা খেলা করে,
সকাল, রাত্রি-সাঁঝে!

থাকতে পারে দুঃখের মাঝেও, 
একটুখানি সুখ,
বৃথাই কেবল সুখের খোঁজে,
ভাসিও না কেঁদে বুক!

এম এ রফিক । মানিক নগর, ঢাকা