কিছু তো আর মনে পড়ে নাকখনো কাফকার পতঙ্গ কখনো উল্টানো কাছিম কিংবা জনারণ্যের পাশেপাতার অলিন্দে মৃত্যুর শোক দীপ জ্বেলে ঐ দেবদারুর মতো একাএই তো বেশ আছিনিমগ্ন সন্ধ্যায় ঘর ফেরা মানুষ জন্মানতরে করে প্রণামপরিচয় হারানো রক্তাক্ত জননীর জঠরে রুগ্ন কোটি বীর্যের বসে মেলাআকাশকে দেখিমৃত্তিকার মায়ায় পিঠ রেখেশুধু আকাশকেই দেখিনীল গম্বুজের নীচে সাদা কাশফুলের মতো বিষণ্ন নরমএকটুকরো মেঘের নৈবেদ্য আর দেখিনাএ চোখ পুড়ে যাকএ বোধ মরে যাককিছুই তো আর মনে পড়ে নাটোল খাওয়া দীঘির জলেবৃক্ষ ছায়ার দীঘল বিস্তার নদীর তরঙ্গে ওঠা ভাটিয়ালি ভাসানকনক ঝরা পৌষের ভোরেরমনীয় আঁচলের মখমলি ওম কোথাও কি ছিলো লেখা এই পরিচয়..?আমি তো সেই খোকাএকখানি ভালো গুলতির স্বপ্নে জেগে উঠতো যার সূর্য সকালআমিতো সেই খোকা ডাঙ্গুলি আররঙিন মার্বেল এর নেশায় বেড়ে উঠতে উঠতেফুলের হাসির মতো চিনেছিলাম মানবিক সুখকিন্তু এখন আমি যে কেবল যুদ্ধ দেখিথুবড়ে পড়া জীবনের বধ্যভূমিতেকেবল নাটাই দখলের লড়াই দেখিকেবল খুন আর রক্ত আমার শোণিতেঘৃণার আলোড়ন তুলে দেয়হাজার মৃতের সন্তপ্ত ভূমির বাতাসে কোন মানুষ নয়আমি কেবল একটি লাশের গন্ধ পাইমানবতা…!?কিছুই আর মনে পড়ে নাআমি কিছুই আর মনে করতে চাই না…বেশ আছি আমি কাফকার ককরোচ হয়ে..!!ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯ফরিদ তালুকদার । টরন্টো, কানাডা
Ashram Bengali Magazine, Ottawa