অটোয়া, শুক্রবার ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
দহন -শেখ মোহাম্মদ হাসানূর কবীর

ন্ধুর আয়নায় বিপরীত প্রতিবিম্ব
ধর্ষিতার চিৎকার বাতাসে ভাসে
মুমূর্ষের আশা দেখো, শূন্যে এসে থেমে যায়;
আমি কষ্ট পাই।

আমি কষ্ট পাই, খুব বেশি কষ্ট পাই
জনকের নিথর দেহ যখন পড়ে থাকে সিঁড়ির উপর
পিশাচের নির্মম বুলেটের আঘাতে।
তারপর একদিন দর্পভরে ওরা হেঁটে চলে
রাজপথে কিংবা দূরে কোনো লোকালয়; ব্যস্ত জনপদে
তিপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল পথ পেরিয়ে-
কেননা ওরা সূর্যসন্তান।

ধর্ষিতা বাংলাদেশ-
ক্ষুধার্ত কিশোর লাল পোস্টার হাতে রাতের নগরীতে,
স্বপ্নের জাহাজে ভেসে বেড়ায় নিষিদ্ধ নারী,
নরকের উষ্ণতায় শীতার্ত রাত কাটে,
ধনুকের মতো বেঁকে আসা বৃদ্ধা
বাহুতে যৌবন কবচ এঁটে পথ হাঁটে।

আমি কষ্ট পাই
আমি কষ্ট পাই,
জনকের ঘাতক কাদাখোঁচা পাখিরা
যখন উড়ে যায় ভিন দেশে
কিংবা স্বদেশের মাটিতে দেখি প্রতিষ্ঠিত মসনদে।

আমি কষ্ট পাই,
বুকের সিন্ধুকে সঞ্চিত পাপের মতন বিশ্বাসগুলো
যখন সেরদরে বিক্রি হয়-
কষ্ট পাই আমি, খুব বেশি কষ্ট পাই।

শেখ মোহাম্মদ হাসানূর কবীর
সাভার, ঢাকা