অটোয়া, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
দেবী মানসী - শাহ্‌ বাহাউদ্দীন শিশির

সদ্য ফোটা পদ্মের মতই ভাসছিল সে,
সুরের লহরীতে দিচ্ছিল সাঁতার দিনভর,
স্বপ্ন গুলো প্রজাপতির পাখায় ছিল ভর।

নিশি রাতে তারার হাটে বসাত সে আসর,
ঝর্নার ছন্দে লিখতো ভালবাসা রাঙা গান,
অসীম সম্ভাবনায় হতো শুরু সবকিছু তার।

বেসেছিল ভালো হয়েছিল সোনালি ভোর,
প্রতিকূল সময়ে ধরে ছিল হাত অসহায়ের, 
দিয়েছিল আলো তমসা আচ্ছন্ন বন্দুর পথে। 

ভেবে দেখেছ? কোথায় না চলেছে অকুত ভয়? 
জিঙ্গাসা করেছো? কোন ধ্যানে মগ্ন ছিল সে?
জান?  আজ স্মৃতির আঙ্গিনায় তার বসবাস।

পার কি এখন ছুঁতে তারে মেঘের ভেলায় চড়ে? 
পাও কি দেখতে তারে খোলা চুলে দিগন্তের পটে? 
সে কি আছে লুকিয়ে অচিন পুরের স্বর্গ গ্রামে?

হারিয়ে দেবী মানসীরে খুঁজবে আজ কেমন করে? 
সে যে ছিল মিশে অতি সাধারণে, ধুলার বেশে। 
দেবী মানুষ রূপী গেছে নিভৃতে না ফেরার দেশে।

শাহ্‌ বাহাউদ্দীন শিশির
অটোয়া, কানাডা।