অটোয়া, শনিবার ২৭ জুলাই, ২০২৪
তোমার পথে দাঁড়িয়ে - ফারজানা মিতু

টাই তো চার নাম্বার সিট তাইনা? ফয়সাল টিকিট হাতে নিয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে মেঘলার সামনে এসে দাড়ায়। মেঘলার চোখে মুখে বিরক্ত ছড়িয়ে পরে। বাস ছাড়তে বেশী দেরী নেই, ভেবেছিলো আর কেউ আসবেনা পাশের সিট দখল করতে। সারাটা পথ আরামে যাওয়া যাবে। এখন শেষ সময় এই মধ্য বয়স্ক লোককে দেখে বিরক্তে কপাল কুঁচকে যায়। মেঘলা উত্তর না দিয়ে লোকটির আপাদমস্তক পর্যবেক্ষণ করে। বয়স পঞ্চাশ কি বায়ান্ন হবে। লম্বায় প্রায় পাঁচ ফিট এগারো, মাথা ভর্তি এখনও চুল, উপরের চলতে থাকা ফ্যানের বাতাসে অনেকটাই এলোমেলো। যথেষ্ট হ্যান্ডসাম। সব মিলিয়ে একজন সুদর্শন মানুষ। জি এটাই চার নাম্বার সিট। আমি যদি জানালার পাশে বসি আপনার কি আপত্তি আছে?

ফয়সাল মুচকি একটু হেসে বলে না আপত্তি নেই। আপনি যে এটা বলবেন সেটা আমি জানতাম। মেয়েরা সাধারণত জানালার পাশে বসে জার্নি করতেই পছন্দ করে। আপনি বসুন, কোন সমস্যা নেই। 

মেঘলা কিছু না বলে হালকা হাসে। মুখে হাসি থাকলেও মনে মনে বলে, বেটা আতেল। ভাব দেখে মনে হয় মেয়েদের নিয়ে ডক্টরেট করে এসেছে। এতোই যদি জানিস তাহলে যা পেছনে যেয়ে বস। আমাকে একা একা শান্তিতে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে চিটাগং যেতে দে। সেটা তো করবিনা। সুন্দর মেয়ে দেখে পাশে বসার জন্য পাগল হয়ে গেলি, বেটা ফাজিল। কিছু বললেন? ফয়সাল মেঘলার মুখের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করেন। মেঘলা একটু লজ্জায় পরে যায়, কি আশ্চর্য শুনে ফেললো নাকি? জি না কিছু বলিনি। আপনি বসুন।

জি ধন্যবাদ। মেঘলা আবারও বলে, ওই বেটা আমি কি তোকে টিকিট কেটে বাসে বসিয়ে দিয়েছি যে ধন্যবাদ দিচ্ছিস। এতো বিনয় ভালো না, চোরের লক্ষন। মেঘলার এই মনে মনে কথা বলার রোগ অনেকদিনের। যে কয়টা কথা মুখে বলে তারচেয়ে অনেক বেশী বলে মনে মনে আর সেটা সবার সাথেই। এই অভ্যাস ভালো না খারাপ সেটা নিয়ে মেঘলার কোন মাথা ব্যথা নেই কিন্তু এটা করে মেঘলা খুব মজা পায়। ফয়সাল বসে মেঘলার দিকে একটু তাকায়, আপনি কি আমার মতো চিটাগং পর্যন্তই যাবেন নাকি কক্সবাজার যাবেন? এখনও ঠিক করিনি, ঠিক হলে আপনাকে জানাবো। মেঘলা বিরসের মতো উত্তর দিয়ে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকে। ফয়সাল কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যায়? প্রশ্ন করে তাহলে কি ভুল করেছে? এখন সরি বলা উচিৎ কিনা সেটাও বুঝতে পারছেনা কারণ মেয়েটা এমন ভাবে বাইরে তাকিয়ে দেখছে যে কিছু বলা মানে পরিবেশ নষ্ট করা। ফয়সাল আরকিছু না বলে হেলান দিয়ে সামনে তাকিয়ে বসে থাকে। বাস ডেমরা ছাড়িয়ে যেতে থাকে। বাইরে রাতের এই সময়ও অনেক জ্যাম। কিছুদুর যেয়ে বাস আঁটকে যায় জ্যামে। মেঘলার বাসে কখনো তেমন সমস্যা হয়না কিন্তু আজকে জানালা বন্ধ থাকার কারণেই হয়তো গা গুলাতে থাকে, মনে হচ্ছে বমি হয়ে যাবে। পানি খাওয়া দরকার কিন্তু তাড়াহুড়া করে পানিটাও আনা হয়নি। মেঘলা উসখুস করতে থাকে, না পেরে দাঁড়িয়ে যায়। সরি আমি কি একটু যেতে পারি? 

জি অবশ্যই। তবে প্লীজ বাইরে যাবেন না। অনেক রাত হয়েছে। 

আমার যেতে হবে, বমি হওয়া দরকার। খারাপ লাগছে। মেঘলা আর দাড়ায় না, দরজা খোলাই ছিল নেমে অন্য বাসের ফাঁক গলে একপাশে যেয়ে দাড়ায়। খোলা জায়গায় কিছুটা হালকা লাগে নিজেকে, তারপর মুখে আঙুল ঢুকিয়ে বমি করার চেষ্টা করে কিন্তু বমি হয়না। এই নিন পানি খান, ভালো লাগবে। মেঘলা অবাক হয়ে দেখে বাসে পাশের সিটে বসা ভদ্রলোক মেঘলার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। পানি ভরা বোতল বাড়িয়ে ধরেছে মেঘলার দিকে। থ্যাংকস, মেঘলা পানি নিয়ে ঢগ ঢগ করে খেতে থাকে। হাতে কিছু পানি নিয়ে মুখেও ছিটায়। বোতলটা ফেরত দিতে দিতে নিজের উপর রাগ হয়, লোকটা আসলেই ভালো শুধু শুধু সবাইকে খারাপ ভাবা মেঘলার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। এখন কি একটু ভালো লাগছে? বাসে জার্নি করার অভ্যাস নেই তাইনা? 

মেঘলা হাসে। কি করে বুঝলেন? 

ঢাকা ছেড়ে বেশিদূর আসেননি কিন্তু এখনই খারাপ লাগছে তাই বুঝেছি। বাকিটা রাস্তা যেতে পারবেন তো? 

পারতে হবে, উপায় নেই। 

হম। তবে আপনাকে দেখে আমি অবাকই হয়েছি। শুনেছি বাংলাদেশ এখনও নিরাপদ না মেয়েদের জন্য আর সেখানে আপনি একা যাচ্ছেন এতোটা পথ, তার উপর রাতে। আপনার বাসায় রাজী হলো আপনাকে এভাবে একা ছেড়ে দিতে? সরি আমি মনে হয় বেশী বলে ফেলেছি।

নাহ, বেশী বলেন নি। বাসার কেউ হলে একা ছাড়তো না। আমিতো কাউকে বলে আসিনি।

কি বলেন? রাগ করে চলে এসেছেন?

মেঘলা কিছু না বলে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে। বুঝতে পারছেনা সত্যি কথাটা বলা ঠিক হবে কিনা।  

ফয়সাল বুঝতে পারছে মেয়েটা আরকিছু বলতে চাচ্ছেনা। হয় মেয়েটি রাগ করে চলে এসেছে বাড়ি ছেড়ে নাহলে কারও সাথে পালিয়ে কিন্তু বাসে আর কাউকে তো দেখলো না। আপনার নামটা জানা হয়নি, আমি ফয়সাল। 

আমি মেঘলা। আপনি কি দেশের বাইরে থাকেন? 

হম। কানাডা তে। গত সপ্তাহে এসেছি। চিটাগং যাচ্ছি বন্ধুর বাসায়। 

একাই এসেছেন? 

একা মানুষ যেহেতু একাই তো আসবো। 

আপনি এখনও বিয়ে করেননি? 

করেছিলাম। ওদের কথার মাঝে গাড়ী সব আস্তে চলা শুরু হয়, চলুন তাড়াতাড়ি নাহলে আমাদের রেখেই বাস চলে যাবে। বাকি কথা বাসে বসেই হবে। বাসে বসে ফয়সাল পানির বোতল মেঘলার হাতে দিয়ে বলে, এটা আপনার কাছেই থাকুক, আবার খারাপ লাগলে খেতে পারবেন। ক্যান্ডি খাবেন? 

আছে? প্লীজ দিন। ফয়াসাল উঠে উপরে রাখা ব্যাগ থেকে ক্যাডবেড়ীর একটা বার মেঘলার হাতে ধরিয়ে দেয়। থ্যাংকস, আমার খুব খুব পছন্দের।

জানি। মেয়েরা আইসক্রিম আর ক্যান্ডি পেলে আরকিছুই চায়না। 

আপনি ওইখানে একাই থাকেন? 

হম। 

বিয়ে করবেন না  আর? 

প্রয়োজন নেইতো। 

হম। মেঘলা কিছুক্ষণ বাইরে তাকিয়ে থেকে তারপর আস্তে করে বলে, আমি রাগ করে যাচ্ছি না, পালিয়ে যাচ্ছি। 

কি বলেন? 

আমাকে আপনি তুমি করে বলেন, আমি আপনার অনেক ছোট। 

তুমি কার সাথে পালিয়ে যাচ্ছ? কেউ যাচ্ছে তোমার সাথে? 

মেঘলা হাসে। কেউ থাকলে কি আমি আপনার সাথে বসে থাকি? রায়হান চিটাগং থাকে। আমি ওর কাছেই যাচ্ছি। বাসস্ট্যান্ডে থাকবে। 

তুমি শিয়র যে থাকবে? ফয়সাল মুখ ফসকে বলে ফেলে। 

মেঘলা কপাল কুঁচকে ফেলে, কেনো থাকবেনা?  রায়হান তেমন মানুষ না। মেঘলা আবারও বিরক্ত হয়, কিছু না বলে বাইরে তাকিয়ে থাকে। 

মেঘলা তুমি হয়তো রাগ করেছো তোমার বন্ধুকে নিয়ে এটা বলায়, তবে কি জানো এমন কিন্তু অনেক হয়, আমি আশা করছি তোমার বেলায় এমনটা হবেনা। তোমার কি ঠাণ্ডা লাগছে? চাদর নেবে? আমার সাথে আছে। মেঘলা চাদর গায়ে জড়িয়ে শুয়ে ভাবতে থাকে, আসলেই তো এমন হয়। আচ্ছা সত্যি যদি রায়হান না আসে? নিজেকে বকা দেয় এটা মনে আসতেই। একজন মানুষের কথায় কিনা রায়হানকে নিয়ে উল্টাপাল্টা ভাবছে। আর রায়হান তো জানেই মেঘলা দুইমাসের প্রেগন্যান্ট। আর সবচেয়ে বড় কথা রায়হান ওকে ভালোবাসে।  

ওদের বাস কুমিল্লায় এসে থামে। চলো খেয়ে আসি, তুমিতো খেয়ে আসো নি। মেঘলার আসলেই খিদে পেয়েছে। দুপুর থেকেই কিছু খাওয়া হয়নি। কিছু না বলে নেমে যায় ফয়সালের সাথে। খেতে বসে গোগ্রাসে খেতে থাকে মেঘলা। ফয়সালের সেদিকে তাকিয়ে একটু মায়াও লাগে। বেচারি অনেকক্ষণ খায়নি। 

হঠাৎ মেঘলা ওয়াক ওয়াক করে উঠে, দৌড়ে টয়লেটের দিকে এগিয়ে যায়। ফয়সালের মুখে কোন কথা নেই, নিজে যেহেতু ডাক্তার তাই বুঝতে অসুবিধা হয়না মেঘলার অবস্থা। মেঘলা এসে বসতেই সরাসরি জিজ্ঞেস করে, তুমি কি প্রেগন্যান্ট মেঘলা? 

মেঘলা চমকে ওঠে। চমকানোর কিছু নেই, আমি ডাক্তার তাই বুঝতে পেরেছি। তোমার বাসায় জানে? তোমার বন্ধু জানে? 

বাসায় জানেনা কিন্তু রায়হান জানে। 

হম। আরকিছু খাবে? সবই তো বমি করে দিয়েছো। 

নাহ চলুন। বাসে উঠে একটু পর মেঘলা ঘুমিয়ে পড়ে। ফয়সাল এক দৃষ্টিতে ঘুমন্ত মেঘলার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। কোথায় যেন একটা মিল কেয়ার সাথে। আবারও কেয়ার কথা মনে পড়ে গেলো মেঘলাকে দেখে। এভাবেই তো পালিয়ে ছিলো ওরা। কেয়া একা পালিয়ে এসেছিলো চিটাগং। তারপর কতোকিছু জীবনে ঘটে গেলো। কতো চড়াই উৎরাই। একদিন কেয়া একেবারে হারিয়ে গেলো জীবন থেকে। ফয়সাল জোরে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। মেঘলার দিকে তাকিয়ে সেই উনিশ বছরের কেয়াকে খুঁজে ফিরে ফয়সাল।  

ভোর সাড়ে পাঁচটায় বাস এসে থামে চিটাগং বাসস্ট্যান্ডে। মেঘলা তখনও গভীর ঘুমে। মেঘলা, মেঘলা উঠবেনা? মেঘলা গভীর ঘুম থেকে লাফিয়ে ওঠে। চলে এসেছি? 

হম। চলো নামি। রায়হানকে খুজতে হবে। মেঘলা আর ফয়সাল নেমে আসে। চারদিকে হালকা আলো। বাসস্ট্যান্ডের ওয়েটিং রুমে যেয়ে বসে ওরা। রায়হান কে কল দাও, দেখো কোথায়। মেঘলা মোবাইল বের করে অন করে। রিং যায়না, একবার, দুইবার, তিনবার সেই একই কথা এই মুহূর্তে মোবাইল সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। মেঘলার হাত কাঁপতে থাকে। ওর মোবাইল বন্ধ কেন? 

দেখি আমাকে দাও। ফয়সাল চেষ্টা করতে থাকে, একই কথা প্রতিবার। মেঘলা রায়হান হয়তো রাস্তায়। অপেক্ষা করো চলে আসবে। 

হম তাই হবে। আপনি কি চলে যাবেন? 

তোমার কি মনে হয় আমি তোমাকে একা রেখে যেতে পারি? আমি আছি। রায়হান আসলেই যাবো। ঘড়ির কাঁটা চলতে থাকে, একে একে বেজে যায় এগারোটা। রায়হানের মোবাইল বন্ধ তখনও। ফয়সাল হাত বাড়িয়ে মেঘলার কাঁপা কাঁপা হাতটা ধরে। বুঝতে পারছে কি হচ্ছে মেয়েটার মনে তখন। কেয়াও কি সেদিন এমনই অপেক্ষায় ছিলো? ফয়সাল রায়হানের মতো ভুল করেনি, ফয়সাল বাস পৌঁছানোর অনেক আগেই পৌঁছে গিয়েছিলো বাসস্ট্যান্ডে। অপেক্ষায় ছিল কেয়ার। মেঘলা তখন অধীর ভাবে কেঁদে যাচ্ছে। আমি এখন কি করবো? 

বাসায় ফিরে যাবে। বাসায় যেয়ে বাবামাকে বুঝিয়ে বললে বুঝবে। 

নাহ বুঝবেনা। 

বুঝবে। চলো আমি তোমাকে নিয়ে যাচ্ছি, আমি কথা বলবো ওনাদের সাথে। 

আপনি আবার ঢাকা ফিরে যাবেন? 

হম যাবো। দাড়াও টিকেট করে আনি। ফয়সাল ফিরে আসে টিকেট হাতে কিন্তু সারাদিনের সব বাস রিজার্ভ তাই আবারও রাতের টিকেট। মেঘলা মনটা ভালো করার চেষ্টা করো। যে মানুষ তোমার ডাকে আসেনি তার জন্য মন খারাপ কি করা যায়? চলো আমরা আজকে সারাদিন ঘুরে বেড়াই, মজা করি তারপর ফিরে যাবো। 

সারাদিন ওরা ঘুরে বেড়ায় এখানে সেখানে। ফয়সাল মেঘলাকে চেষ্টা করে উৎফুল্ল রাখতে। মেঘলার পছন্দ মতো খাবার,মেঘলার পছন্দ মতো জায়গায়। ওদের বাস ছাড়ে রাত সাড়ে এগারোটায়। ক্লান্ত মেঘলা কখন জানি ঘুমিয়ে পড়ে ফয়সালের পাশে বসে। ফয়সাল আলতো করে চোখের উপর থেকে চুল সরিয়ে নেয়। মনে মনে বলে, কেয়া আমাকে ছেড়ে তুমি কেন গেলে? মেঘলার ঘুম ভাঙে একবারে কুমিল্লা এসে। একই জায়গায় ওরা আবারও খেতে নামে। ঢাকা এসে পৌছায় কাক ডাকা ভোরে। মেঘলার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ফয়সাল বলে, আমার কি আসার দরকার আছে মেঘলা? তুমি পারবেনা সব সামলাতে? 

মেঘলা এই প্রথম ভালো ভাবে মানুষটিকে দেখে। কিভাবে পুরো একটি দিন আর রাত পাশে পাশে ছিলো। একজন ভালোবেসে কথা রাখেনি আর আরেকজন শুধু দায়িত্ব থেকে সব করে গেলো। ভালোবাসা তাহলে কোনটা? কি মেঘলা পারবেনা সব সামলাতে? আমাকে কি লাগবে? 

মেঘলা ফয়সালের চোখের দিকে তাকায়। নাহ আমি পারবোনা সামলাতে। এখন কেন, আর কখনোই পারবোনা। আপনি থাকবেন না পাশে? 

ফয়সাল একভাবে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে। সেদিনও কেয়াকে ছেড়ে যায়নি আর আজকেও যাবেনা। কেয়া এতোদূরে এখন যে হাজার ডাকলেও ফিরবেনা কিন্তু সামনে যে কেয়া দাঁড়িয়ে আছে, তাকে ফেরাবে কিভাবে? ভালোবেসে কেয়াদের পাশে ফয়সালরা থেকে যায়, থাকতে হয়। এটাই ভালোবাসার অমোঘ নিয়ম।       

ফারজানা মিতু
ঢাকা, বাংলাদেশ