প্রবীররঞ্জন মণ্ডলের দুটি কবিতা
১) নারী পক্ষের জাগরণ
পিতৃপক্ষে হেঁটে যাই বিরামহীন পথ
সব রাস্তা থমকে দাঁড়ায়
উদ্দেশ্যহীন ভাবে মুখের উপর।
চটক লাগে অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণে
অস্থির মাথার ভিতর।
দূরে জেগে ওঠে জোড়া সাঁকো পথ রামধনু
মেঘের আদুড় পায়ে রক্ত ঝরে
অজস্র টোপ রসে ভিজি তখন
আর শরীরে পাই উষ্ণ আবেশ।
কোনো সুরাসুর বোধের আলোয় জাগে কার মুখ!
দশ হাত চণ্ডীকার জ্বলে চক্ষু অনিবার
কীসের আধিপত্য বিস্তারের প্রত্যাশায়?
নারী পক্ষের হবে মহাজাগরণ
তাও কী সম্ভব!
অপেক্ষায় থাকে এগিয়ে চলা সভ্য পৃথিবী
অনন্য জাগরিত এক আলোর পথে।
২) নির্ভয় লোকটি
মৃত্যুর সাথে গোপন সন্ধি সারতে
তাকে ডেকেছিলাম একদিন এপারে।
সে নির্ভাবনায় উত্তর দিয়েছিল,
আমার যাওয়ার সময় এখন নেই
ছায়ার সাথে বাক্ যুদ্ধে লড়ে হারও একবার
তারপর না হয় দেখা যাবে ------!
তখন তোমাকে নিয়ে আসব আলোর ভূবনে
তুমি ফিরে পাবে শৌর্য আর ক্ষিপ্র
একরাশ জীবনের বিরোধিতা।
ছায়া আর আলোর অনুসঙ্গে
চুপচাপ দেখে যাবে মৃত্যু
কীভাবে লড়াই করছে জীবনের সাথে।
হাতে তার বরাভয় মানদণ্ড,
তখন না হয় তোমার সাথে সন্ধি সারবো
উত্তর দিয়েছিল নির্ভয় লোকটি।
প্রবীররঞ্জন মণ্ডল
দঃ ২৪পরগনা
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
-
ছড়া ও কবিতা
-
12-07-2024
-
-