অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
বিরামহীন অপেক্ষা - অনিন্দ্য সৌরভ

ভীর মরুভূমির 
তপ্ত মরীচিকার ন্যায়
দীর্ঘ অপেক্ষা 
তার দীর্ঘতা বলে যায়।
শূন্যতা ভেদিয়া দীর্ঘতা ছেদিয়া
অপেক্ষা হয়না কভু শেষ,
যতই চলি সন্মুখে বিরামবিহীন ভাবে
শুধুই দেখি অপেক্ষার নিত্যনতুন বেশ।

অধরা অপেক্ষারে ধরার লাগি
আমি ছুটেছি অনেক তার পিছুপিছু,
যদিও নিস্ফল আমার চেষ্টা, তবুও অপেক্ষার পথে
পেয়েছি আমি নতুন কিছু।
অপেক্ষার রাস্তারে বড়ো নিস্ফল
ভেবেছে আমার এ অবুঝ মন,
তবুও এ পথেই দেখেছি যে আমি 
নতুন পথের আগমন।

চেয়েছি আমি সুখের প্রদীপ
কামীয়াছি আমি জীবনের আলো,
অপেক্ষা হলোনা শেষ, সুখের প্রদীপ লাভের পরেই
আচমকা ঝড়েই সে প্রদীপ নিভে গেল!
জিজ্ঞাসী আমি তারে
"প্রদীপ তুমি কেন নিভে গেলে?"
"জীবনের এত ঝড়ে আমি থাকিব কেমনে
অসহায় বালক দেখোনা আঁখি মেলে।"

সাথী হারা আমি! একটি সাথী পেয়েছিলাম
তবুও সে হারিয়ে গেল আজ,
পরক্ষনেই আঁখি মেলে দেখি 
অপেক্ষার নবীন সাজ।
জিজ্ঞাসী তারে " কেন এসেছ হেথায়?"
"আমি এসেছি তোমার ভবিষ্যতের প্রদীপ হয়ে"
"বেশ তুমি আমার সাথী হবে?"
"হা হব, যেথা চাও নিয়ে চলো, আমায় লয়ে।"

নবীন সাথী পেতেই আমার
অপেক্ষার অবসান,
হঠাৎ ঝড়েই দেখি আবার
ভবিষ্যৎ ক্ষীয়মান !
সে প্রদীপের আলো আজও
কাঁপে থরোথরো- 
সবই হল দিশেহারা,
মোর অপেক্ষা আরও দীর্ঘতর।

বেদনায় জর্জরিত মোর মন
অপেক্ষার পথে তবুও চলে,
হঠাৎ আলো! চেয়ে দেখি
নতুন প্রদীপ এসে দিচ্ছে ঢেলে।
"প্রদীপ তুমিও কি নিভে যাবে
খানিক পরে?"
"আমি আশার আলো,
নিভি না কভু এই ভূধরে।"

জিজ্ঞাসী পুনরায় তারে,
"তুমি কেন জ্বলিবে তবু?"
"আমি যে আশার আলো,
আমা বিনা জীবন বাঁচিবে না কভু।"
"চাইনা তোমাকে, নিভে যাও তুমি"
"হতাশ হইয়ো না তুমি আর
শুনে রাখো, আমারি শিখা হতে জীবনের আলো
জ্বলিবে পুনর্বার।"

অনিন্দ্য সৌরভ
জলপাইগুড়ি, পশ্চিমবঙ্গ  ভারত।