বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন, জাতীয় শিশু দিবস ও শিশু অধিকারের হাল-চাল
মীম মিজান - আজ ১৭ই মার্চ ২০২০, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন। এ ছাড়া আজ জাতীয় শিশু দিবস। বাংলাদেশে প্রতি বছর বঙ্গাব্দে চৈত্র ৩ আর খ্রিস্টাব্দে মার্চ ১৭ এটি পালিত হয়। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনটিকে শিশু দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯২০ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান ও মাতার নাম সায়েরা খাতুন। পিতা-মাতার চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে তিনি ছিলেন তৃতীয়। বাল্যকালে তার ডাক নাম ছিল খোকা। খোকা নামের সেই শিশুটি পরবর্তীকালে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ এবং জনগণের প্রতি মমত্ববোধের কারণে পরিণত বয়সে হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। এক রাজনৈতিক সংগ্রামবহুল জীবনের অধিকারী এই নেতা বিশ্ব ইতিহাসে ঠাঁই করে নেন স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার হিসাবে। বাঙালি জাতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদান চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। আজীবন সংগ্রামী বঙ্গবন্ধুর যখন জন্ম হয় তখন ছিল বৃটিশ রাজত্বের শেষ অধ্যায়। গ্রামের স্কুলে তাঁর লেখাপড়ার হাতেখড়ি। ১৯২৭ সালে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। নয় বছর বয়সে তথা ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন এবং এখানেই ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জ মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। কিশোর বয়সেই বঙ্গবন্ধু সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তত্কালীন বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে বঙ্গবন্ধু প্রথমবারের মতো গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন। এরপর থেকে শুরু হয় তার বিপ্লবী জীবন। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর তিনি কলকাতার ইসলামীয়া কলেজে ভর্তি হন। ১৯৪৭ সালে অর্থাত্ দেশবিভাগের বছর এ কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রী লাভ করেন। সহকর্মীদের নিয়ে ১৯৪৮ সালে গঠন করেন ছাত্রলীগ। পাকিস্তান-ভারত পৃথক হয়ে যাওয়ার পর শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্র লীগ, যার মাধ্যমে তিনি উক্ত প্রদেশের অন্যতম প্রধান ছাত্রনেতায় পরিণত হন। ১৯৩৮ সালে আঠারো বছর বয়সে বঙ্গবন্ধুর সাথে বেগম ফজিলাতুন্নেসার বিয়ে হয়। এই দম্পতির ঘরে দুই কন্যা এবং তিন পুত্রের জন্ম হয়। কন্যারা হলেন শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা। আর পুত্ররা হলেন শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেল। আমরা তাঁর জীবনের বাকী দিন গুলো সম্পর্কে সম্যক অবগত।
বাংলাদেশের স্থপতি বলে তাঁর জন্মদিনটিকেই জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কেননা শিশু বয়সে সমবয়সিদের প্রতি ছিল তাঁর প্রগাঢ় ভালোবাসা।যুবক ও পরিণত বয়সেও তাঁর ছিল অতুলনীয় শিশুপ্রেম। শিশু দিবস যেহেতু শিশুদেরকে নিয়ে তাই শিশু কারা? কি এদের বৈশিষ্ট্য ও অধিকার? এগুলো জানা প্রাসঙ্গিক। শিশু (ইংরেজি: Child) ভূমিষ্ঠকালীন ব্যক্তির প্রাথমিক রূপ। যে এখনও যৌবনপ্রাপ্ত হয় নাই কিংবা বয়ঃসন্ধিক্ষণে প্রবেশ করেনি সে শিশু হিসেবে সমাজ কিংবা রাষ্ট্রে চিহ্নিত হয়ে আছে। সচরাচর যে ছেলে বা মেয়ের বয়স ১৮ বছরের নিচে অবস্থান করছে সে শিশু হিসেবে চিহ্নিত। জীববিজ্ঞানের ভাষায় - মনুষ্য সন্তানের জন্ম এবং বয়ঃসন্ধির মধ্যবর্তী পর্যায়ের রূপ হচ্ছে শিশু। জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত শিশু অধিকার সনদের ১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘ ''এই সনদে ১৮ বছরের নীচের সব মানব সন্তানকে শিশু বলা হবে, যদি না শিশুর জন্য প্রযোজ্য আইনের আওতায় ১৮ বছরের আগেও শিশুকে সাবালক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।''
শিশু অধিকার নিয়ে বাংলা পিডিয়া উল্লেখ করেছে, ''বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রীয় নীতির মৌলাদর্শ বর্ণনায় শিশু অধিকারের প্রাসঙ্গিক বিধান [অনুচ্ছেদ ১৫, ১৭ এবং ২৫ (১)], মৌলিক অধিকারসমূহ [অনুচ্ছেদ ২৭, ২৮ (১) (২) (৩) (৪), ৩১, ৩২ এবং ৩৯ (১) (২)], এবং বিচার বিভাগীয় পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা [অনুচ্ছেদ ২৬ (১) (২)] রয়েছে। সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদে সব ধরনের বৈষম্য থেকে শিশুর নিরাপত্তা বিধানের সাধারণ নীতিমালার উল্লেখ রয়েছে। সংবিধানের এসব অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিক সমান ও অভিন্ন নিরাপত্তা লাভের অধিকারী বিধায় পক্ষাপাতহীনভাবে তাদের আইনের সুযোগ লাভের অধিকার রয়েছে' । বাংলাদেশের শিশুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ সম্পর্কিত অন্যান্য আইন কোনো একক সংবিধিভুক্ত নয়।" ১৯৬৯ সালে শিশু বিষয়ে ১০টি অধিকার জাতিসংঘ গ্রহণ করে এবং ১৯৮৯ সালে তা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে সনদ আকারে গ্রহণ করা হয়। তবে স্বাধীনতার পর পরই প্রথম ১৯৭২ সালের সংবিধানে মৌলিক অধিকারের বিষয়টা সুস্পষ্ট ও সার্বিকভাবে আমরা গ্রহণ করি। সংবিধানে বলা হয়, "..শিশুদের অনুকূলে অগ্রগতির জন্য... বিশেষ বিধান প্রণয়ন হইতে এই অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না।"
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার অন্যান্য সময়ের তুলনায় মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের প্রতি অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। ফলে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার অতীতের তুলনায় কমে এসেছে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৬ মতে, 'শিশু মৃত্যু হার ১ বছরের কম প্রতি হাজারে ৩০জন এবং শিশু মৃত্যু হার ৫ বছরের কম প্রতি হাজারে ৩৮জন। 'দৈনিক যুগান্তর' উল্লেখ করেছ, ''জাতিসংঘের শিশু উন্নয়ন ফান্ড এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শিশুমৃত্যু হার রোধে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি করেছে।" সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ রকম অবস্থানে আমরা পৌঁছেছি। এ সরকারের আমলে লিঙ্গ সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যুহার কমানো সূচকে এসেছে বিস্ময়কর সাফল্য। যার স্বীকৃতস্বরূপ সাউথ সাউথ পুরস্কার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পেয়েছেন ইউএনএমডিজি পুরস্কারও। শিশুদের একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যা প্রতিবন্দীতা নিয়ে জন্মায়। সরকার এই সকল শিশুকে সমাজের বোঝা না করে স্বাবলম্বী করার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় তাদেরকে পূণর্বাসন করছে। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়ুবিক জটিলতা সংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তার কাজ বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়ায়। প্রথমে নিজ দেশ বাংলাদেশে এবং পরবর্তীতে জাতিসংঘ ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থায় তিনি কাজ করেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পুতুলকে ‘হু অ্যাক্সিলেন্স’ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করে।
ইংলিশ কবি William Wordsworth বলেছেন, ''The child is father of the man." অর্থাৎ আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। অথচ সেই কোমলমতি শিশুদের হত্যার কি মহড়া চলছে দেশে! দেখে নেই সেই চিত্র: ঢাকার বনশ্রীতে পরকিয়ার জন্য দুই ভাইবোন তাদের মায়ের হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার ঘটনাটি সারা দেশে আলোড়ন তুলেছে। হবিগঞ্জের বাহুবলে চার শিশুকে একসঙ্গে হত্যার পর বালিচাপা দিয়ে রাখার ঘটনাও সারা দেশে আলোড়ন তোলে। বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্য মতে, ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত গত চার বছরে সারা দেশে এক হাজার ৮৫টি শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ২০১২ সালে ২০৯টি শিশু, ২০১৩ সালে ২১৮টি শিশু ও ২০১৪ সালে ৩৬৬টি শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়।
সিলেটের ১৩ বছরের সামিউল আলম রাজন, খুলনার রাকিব, ঢামেকের সামনে সুটকেসে গৃহকর্মীর ক্ষত বিক্ষত লাশ, বরগুনার রবিউল, চাঁদপুরের শহরাস্তিতে বাবা মায়ের পিটুনিতে শিশু সুমাইয়া, উইলস লিটিল ফ্লাওয়ারের ছাত্রী রিশা, মাগুরায় মায়ের পেটে গুলিবিদ্ধ শিশু এরকম অসংখ্য শিশু হত্যার ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। পত্রিকার পাতা খুললে ও দূরদর্শনের পর্দায় আমরা দেখে অভ্যস্ত হয়েছি জাতির ভবিষ্যৎকে অংকুরে বিনষ্টের দৃশ্য। উপর্যুক্ত শিশু হত্যার কারণ গুলি যদি আমরা খুঁজি তাহলে দেখিযে, অনৈতিকতা, ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি উদাসিনতা, সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা, মাদক দ্রব্যের সহজলভ্যতা, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, সামাজিক ও পারিবারিক অবক্ষয়, বেকারত্ব, অনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা, অনলাইন প্রযুক্তির কু-প্রভাব, পর্নোগ্রাফির প্রসার, অনৈতিক জীবনযাপন, মানবপাচার, বিরোধ বা শত্রুতা, ব্যক্তি স্বার্থপরতা, লোভ শিশু হত্যাকাণ্ডের কারণ। মানবাধিকার সংস্থাগুলি বলছে, শিশুহত্যার মতো ঘৃণিত অপরাধে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় শিশু হত্যার ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান বলেন, "শিশুরা পরিবারের চোখের মণি এবং এদের সহজেই টার্গেট করা যায় বলে অপরাধীরা শিশুদের টার্গেট করছে।" ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশীক মোহাম্মদ শিমুল রেডিও তেহরানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ''মানুষ হত্যা বা শিশু হত্যা দেশে নতুন নয়। গণমাধ্যমের কারণে এ বিষয়টি নতুন মাত্রা পেয়েছে মাত্র। এটা সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিরই বহিঃপ্রকাশ। আর দেশে একের পর এক নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটে যাওয়া আর বিপরীতে যথাযথ বিচার না হওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে সংবেদনশীলতা কমে যাচ্ছে। যার ফলে শিশুরাও এ নির্মমতা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।" অভিভাবক ফোরামের জিয়াউল কবীর বলেন, “আমরা অভিভাবকরা বিচলিত। বিচারহীনতা, দীর্ঘসূত্রতা, অপরাধীদের শাস্তি না হওয়ায় দিন দিন এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোচিং সেন্টারে শিশুরা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সরকার বিভিন্ন উদ্যোগের কথা বললেও, মনিটরিং এর কোনও ব্যবস্থা না।" এ ব্যপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "সমাজে বিচারহীনতা এবং অসুস্থ মানসিকতার প্রকাশ এই নির্মম শিশু নির্যাতন। বিচারহীনতার সংস্কৃতি শেকড় গেঁড়ে বসায় একটি শিশুকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ করতে তারা সাহস পেয়েছে।" সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বলেন, ''বিচার-প্রক্রিয়ার শ্লথ গতিতে অপরাধীরা অপরাধ করা থেকে নিরুৎসাহিত তো হয়ই না, বরং উৎসাহিত হয়। একজনের বেলায় মামলায় শাস্তি নিশ্চিত করা হলেও অন্য ১০০ জন লোক তা দেখে ভয় পায়। অপরাধীরা ভেবেই নিচ্ছে—অন্যায় করলে বিচার আর কী? আর বর্তমানে যে ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটছে তা নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে।'' শিশু হত্যার মত জঘন্য অপরাধের সংস্কৃতি থেকে আমরা যদি মুক্তি পেতে চাই তাহলে পরিবারগুলোর মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। পরকিয়ায় উৎসাহিত করে এমন টিভি প্রোগ্রাম গুলো বন্ধ করতে হবে। মাদক ও চোরাচালানের প্রতি কঠোর ও অনমনীয় হতে হবে। মামলার জটে দীর্ঘসূত্ররা না করে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। জিয়াউল কবীরের ভাষায়, "এখন প্রযুক্তি চলে এসেছে মানুষের হাতে। ফলে উঠতি বয়সী ছেলে মেয়েরা খারাপ পথে যাচ্ছে। অভিভাবকদের সন্তানদের নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। আন্তরিকভাবে সন্তানদের সখ্য দিতে হবে।" আর যদি আমরা সন্তানদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখি তাহলে ঐশীর মত ঘটনা ঘটবে। শিশু শ্রমের বিষয়ে সজাগ হয়ে শিশুদেরকে ঝুকিপূর্ণ ও অনিরাপদ কর্মক্ষেত্রে নিয়োগের ব্যপারে আইনি তদারকি বাড়াতে হবে। আজকে স্বাধীনতার স্থপতি মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্ম দিনে প্রভুর কাছে প্রার্থনা, স্রষ্টা যেন তাঁকে সম্মান দান করেন। তাঁর স্বপ্নকে যেন আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি। জাতীয় শিশু দিবসের চাওয়া হোক সকল নেতিবাচক দিক পরিহার করে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ শিশুদেরকে ভালোবাসি। ভালোবাসা পেয়ে তারা ফুলের মত ফুটে বিশ্বকে করুক সুবাসে মোহিত।
মীম মিজান
এম ফিল গবেষক
ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ও
প্রাবন্ধিক, গল্পকার
persianmizan@gmail.com
-
নিবন্ধ // মতামত
-
17-03-2020
-
-