অটোয়া, বৃহস্পতিবার ২ মে, ২০২৪
বৈরাগী শহর - মুতাকাব্বির মাসুদ

কালের জঠরে খেলে অনিরুদ্ধ অনুতাপের দিগন্ত বিস্তৃত অবিন্যস্ত-অনুস্যূত সময়ের অনৃত বাস্তবতা
জীবন থামেনা অনুষ্ণ জলের কবোষ্ণ বুকের ভেতর
কইতরীর ওমভরা বুকে সুখেরা ওড়না ওড়ায় বাক-বাকুম নৃত্যে
বেওয়ারিশ চাঁদের আলো উন্মাদ জোনাকির মস্কানো ডানায় বাঁধে উন্নীদ্র রজনীর ঘর
বেহিসেবী কর্কশ ঝিঁঝিঁপোকা
উদলা নিতম্বে নিঃসঙ্গ রাতের কষ্ট নিয়ে খেলে
গলির ভেতর একঝাঁক মাতাল কুকুরের ভিড়ে
দূরে রক্তশামুকে জড়ানো দালানে
নগ্ন হয়ে উদোম শরীরে যৌবতী পেঁচা ক্লান্ত রাতের কাজল মাখে গায়
নিষুতি রাত কেবলই ধর্ষিত হয় - বেমালুম রক্তাক্ত হয় নিষিদ্ধজনের নষ্ট কাফেলায়
আমার বৈরাগী শহর ক্লান্ত ল্যাম্পপোস্টের নিচে
একাকী অনুজ্জ্বল নিঃসঙ্গতা গিলে খায়
আঁজল ভরা রাশি রাশি জলের ভেতর কিংবা অনন্ত যৌবনা উড়াল পাখির চঞ্চুতে, আঁধার কেটে উন্মগ্ন হতে চায়- অন্তহীন মরণের মতো
হারিয়ে যেতে চায় -মিশে যেতে চায় ক্রমাগত উন্মাদ পাগল হাওয়ায়
মুক্তি খুঁজে- মুক্তি চায় বন্ধনহীন আলোর অন্বেষণে
কোনো এক ভোরে শিশিরের মায়ায় মুখর রোদের শরীরে ; আমার শহর এখন ঘুমিয়ে আছে
নিথর নিশির আঁচলে
শব্দহীন নিঃস্তব্ধতার চাদরে

মুতাকাব্বির মাসুদ। শ্রীমঙ্গল, বাংলাদেশ