অটোয়া, রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
কানাডিয়ান বাঙালিদের সংস্কৃতি চর্চা (পর্ব ১) – কবির চৌধুরী

কানাডার রাজধানী অটোয়ার ৫/৭ হাজার বাঙালিদের ছোট বড় অনেকগুলো সংগঠন রয়েছে। তার মধ্যে “বাংলাদেশ কানাডা এ্যাসোসিয়েশন অব অটোয়া ভ্যালী” একটি। সংগঠনটি শহরের মানুষের কাছে “বাকাওভ” নামেই অধিক পরিচিত। শহরের প্রথম ও পুরাতন এই সংগঠনটিকে  অধিকতর গতিশীল এবং জবাবদিহীমূলক করার জন্যে ২০২৪ সালে সংগঠনের মূল পরিচালনা কমিটি “কার্যকরী পরিষদের” পাশাপাশি “উপদেষ্টা পরিষদ” নামে নতুন আরেকটি কমিটি তৈরি করা হয়। বাকাওভের সাংগঠনিক কাঠামোতে সংযোজিত নতুন এই কমিটির একজন সদস্য হিসেবে কমিউনিটির বিভিন্ন মানুষজনের সাথে আলাপ করতে গিয়ে আমি এই নিবন্ধটি লিখতে আগ্রহী হই। 

অটোয়া আমার শহর। বাংলাদেশ ছেড়ে কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্যে আসার পরে প্রথম রাত থেকেই এই শহরে আছি। আমার ষাট বছরের জীবনের সাইত্রিশ বছরই এই শহরের অলিতে গলিতে পার করছি। এখনো রাত বিরাতে নির্ভয়ে চোখ বন্ধ করে নিঃসংকোচে চলাফেরা করি। কখনো মনে হয়নি আমি আমার জন্মভূমি থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে বরফঢাকা এক অপরিচিত শহরে হাঁটছি। 

এই লেখার মূল উপপাদ্য আমাদের সংস্কৃতি। বহুজাতিক সংস্কৃতির দেশ কানাডায় আমরা কিভাবে আমাদের সংস্কৃতি পালন করছি, উদযাপন করছি, এবং প্রসার ঘটাচ্ছি। এই রচনাতে কানাডার বাঙালিদের সংস্কৃতি চর্চার ইতিবাচক, নেতিবাচক উভয় দিকই থাকবে। তবে লেখাটি আমি ইতিবাচকভাবেই শুরু করতে চাই। 

গত কয়েকদিন থেকে অটোয়ার অনেক বাঙালিই ফেসবুকে দেখতে পাচ্ছেন যে ‘বাকাওভ’ বাঙালি সংস্কৃতির প্রধান বাহক “মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি” উদযাপনের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। মহান “শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” আগামী ২১শে ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকাল ৬-০০ঘটিকায়  স্থানীয় নটরডাম কমিউনিটি সেন্টার, ৩৬৫৯ নাভান রোড, অরলিন্সে অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজকদের তথ্যমতে অনুষ্ঠানটি ভাষা শহীদদের সম্মানে “শহীদ মিনারে” পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, একুশের ইতিহাস ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা, দেশাত্ববোধক গান পরিবেশনা ও কবিতা আবৃত্তি, ইত্যাদির সমন্বয়ে সাজানো হয়েছে। নিঃসন্দেহে তাদের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বাঙালিরা এবছর মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি এমন এক সময়ে উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে - যখন বাঙালিরা অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। চলবে…

কবির চৌধুরী
প্রকাশক, সম্পাদক
আশ্রমবিডিডটকম, অটোয়া