একগুচ্ছ কবিতা - রফিকুল নাজিম
মায়ায় বাঁচো
(জর্জ ফ্লয়েড এর স্মরণে)
কালোর ঘাড় বুটে চেপে
বসে আছে মহান সাদা!
সাদা কালোর ঘৃণার বোঝা
টেনে নিচ্ছেন বর্ণগাধা!
জাতপাত আর বর্ণবিদ্বেষে
আগুন দিচ্ছে পৃথিবীর বুকে,
হিংসা ক্রোধের বিষের বানে
সাদা কালো মরছে ধুঁকে।
অধর্মের বর্শায় আহত ধর্ম
বেনিয়ারা লুটছে সব,
মানুষ মারে মানুষ মরে
রক্ত হোলির মহোৎসব।
মায়ার ধর্মে বাঁচো মানুষ
মনে প্রেমের রঙ মাখো,
সাদা কালোর ঘৃণা মুছে
মায়ার হাতে হাত রাখো।
যোগফল শূন্য
তুমি ভালোই রবীন্দ্র বুঝো
বুঝো বিদ্রোহী পঙক্তিমালা,
দ্রোহের শ্লোগান ঠোঁটে খুঁজো
বুঝো ক্ষুধিতের পেটের জ্বালা।
তুমি ফুল বুঝো, পাখি বুঝো
নদীর উতলা ঢেউ বুঝো খুব,
অথচ আমার বুকে ব্যথা রচো
আমার কষ্টে জ্বালাও ধূপ!
তুমি শুধু আমায় খুঁজো না
আমার অভিমান বুঝো না।
অমানুষ
জরুরি সভায় কুকুরগুলো সিদ্ধান্ত নিলো এই
মানুষ আবার গালি দিলে-কামড়ে দিবে সেই!
মানুষের মত হিংস্র আচরণ করবে একবার যেই
ঠিক তখনই-'মানুষের বাচ্চা' গালি একটা দেই।
মানুষের ভেতর নোংরা কাক-নাড়ছে সৃষ্ট ভাগাড়
বুকের ভেতর লোভের দানব খাচ্ছে মানুষের হাড়,
মানুষের মুখোশে জন্তু আড়াল-ঘৃণায় কামে জাগে
ফুলের পৃথিবীকে নরক বানায় মানুষ হিংস্র রাগে।
'কুত্তার বাচ্চা' গালি শুনে কুকুরও লজ্জা পায়,
জন্তুষ-মানুষের কর্ম দোষে মানুষ গালি খায়!
জলের দাগ
জলের দাগ মুছে যায় জলে
মুছে না ফাগুন বাতাসে,
জলের অশ্রু জলেতেই ঝরে
উড়ে না মেঘের আকাশে।
আমার বুকের গোপন ব্যথা
আঁধারে গোপনে কাঁদে,
টিকটিকিটা ছটফট করে
আমারই আর্তনাদে।
হাসিতেই নাকি মুছে ব্যথা?
আসলে এসব মিছে,
হাসির আড়ালে দুঃখরা কাঁদে
কষ্টরা হাঁটে পিছে।
রফিকুল নাজিম
পলাশ, নরসিংদী
বাংলাদেশ।
-
ছড়া ও কবিতা
-
05-06-2020
-
-