অটোয়া, রবিবার ৬ এপ্রিল, ২০২৫
সিলিকন রঙের জোনাকি - নিমাই জানা

শিমুল ফুল লিখে রেখেছে আমার সাদা রঙের সকল মেধাবী সর্বনাশ।
থার্মোডিনামিক্সের সবকটি ভেক্টর চিহ্ন আমার শরীরের অভিমুখ বদলে দিচ্ছে
শিরিষ গাছ থেকে নিম্নমুখী তেতুলপাতার ডাইমেনশান চিহ্ন ছিঁড়ে ফেলছে আমার গায়ের লাল গামছার দুঃখ
গাছের মাথায় ব্যবহার্য পোশাকের সবুজ রঙের আকর্ষগুলি, রাখা আছে অব্যবহৃত ভাঙ্গা আলনায়।
অন্তর্বাসের বয়স বাড়ছে ক্রমশ রোঁয়া ওঠা প্রজাপতির পিঠে
মুখ ভেঙ্গে যাচ্ছে বারবার জমায়েত চিৎকারে। শ্যাওলা পড়া কলাপাতার বিন্যাস কেটে যাচ্ছে সনাতন দার মা। হাতে রাখা খাঁজকাটা ধারালো পৃথিবীর কাস্তে।
চোখের রেখা বদলে দিচ্ছে সিলিকন আইকনিক নারী দের বয়স এভাবে বাড়লেই লাল রঙের মেঘ ঘনিয়ে আসে
তাই প্রতিটি গাছের তলায় ধ্যানে আছে জিওল সরীসৃপ। 
রাত্রিবেলার ঈশ্বর খেলা করে হেনা ফুলের সুগন্ধে। ভয়ের ঘুম ঘোরে নক্ষত্রেরা উঠোনে এসে খেলা করে যায় আগামী জন্মের যত পরিযায়ীদের সাথে
বজ্রপাত এদের কাছেই ভৌতিক অথবা জোনাকি মশারির ভিতরে কালো মেঘ মানে কৃষ্ণঠাকুর নয় বুকের ভেতর রাধাকে ঢুকিয়ে আমরা সকলেই কেমন আজন্ম কাল অপহরণকারী হয়ে গেছি।

নিমাই জানা
রুইনান, পশ্চিম মেদিনীপুর