অটোয়া, শনিবার ৫ এপ্রিল, ২০২৫
মৃত্যুমুখ থেকে.. - শৌভিক চ্যাটার্জী

কটা গভীর খাদের ধারে, নিগূঢ়তম 'আমি'টা দাঁড়িয়ে আছি।
ধীরে, অতি ধীরে বা হয়তো তার চেয়েও ধীরে,
নেমে যাই নিচে তবে?
সে সাহসালিও নই তো!
সবুজ অরণ্যচর পরিবেষ্টিত এক সর্বভুক খাদ; যার গভীর নিকষিত বৃহদন্ত্রে পাচিত হতেই পারে মারিয়ানার গভীরতাও!
কীট, মাকড় জর্জর, রোগগ্রস্ত বিষাক্ত ভুমি কি ভুখমিছিল করছে নীচতম নগরীর অলিতে গলিতে?
নাকি, প্রতিক্ষীত কোনো স্বপ্ন পুরী সাজিয়ে রেখেছে দীপাবলির রামরাজ্য, ছদ্মবেশধারী তান্ত্রিকপন্থায় আচ্ছন্ন করবে তবে 'আমি' টা কে?
আমার আমি থেকে এই 'আমি'কে শুধু মুক্ত করাই বাকি।
তারপরই নেমে যাব সেই অসীমতটে, যেখান থেকে শূন্যতল শুরু করে তার ইন্দ্রজাল।
সম্মোহিত হয়ে চড়ুই পালক হয়ে আবার খুঁজে নেব গৃহশান্তি।
অকস্মাৎ এক শূন্য রঙের হাত, উঠে আসে  পাশে, হয়তো অন্য কোনো 'আমি'র প্রপিতামহীর হবে সে হাত।
আমি শুনতে পাই, বলছে কেউ..
'ফিরে যাও, ফিরে যাও, এ পাড়ার চৌহদ্দির নাম বিভীষিকা, যাকে তোমরা মৃত্যু বলো। ফিরে যাও ফিরে যাও'...

শৌভিক চ্যাটার্জী। পশ্চিমবঙ্গ