অটোয়া, বৃহস্পতিবার ২ মে, ২০২৪
রানাকুমার সিংহ-র একগুচ্ছ কবিতা

এই শ্রাবণে
শ্রাবণের মেঘ জানে কৌশলের পাঠ
বাতাসের গোপন মেসেজ নিয়ে
টুং-টাং বাজে সেলফোন...
চাঁদ আর নক্ষত্র মুখোশ পড়ে বসে আছে
অপেক্ষার প্লাটফরমে, তাহার
মুখে লেগে আছে নববৃষ্টির ঘ্রাণ!

আহাম্মকের মতো আঁচড় এঁকে দিই
বালুময় প্রত্যাশার চিত্রে...

শ্রাবণের তরুণীবৃষ্টি বুকের ভেতর
টুপটুপ করে শোনায় তিন প্রহরের কষ্ট...

আমার বেদনা ভাসে, নাকি ভেসে যায়
নতুন ফতুয়ার লালরঙা পুস্প!

জলরঙ
ষাঢ়ের আকাশ ভুলেছে
দুপুরের প্রজ্ঞাপন!
সাজ সাজ মেঘ পালিয়েছে দূরে
পাখিরাও ফের ভাসিয়েছে ডানা

বারান্দার করলালতা নিরাশ হয়ে আছে!
প্রতিবেশী ছাদে মেরুন রঙের শাড়ি
কথা বলে মৃদু হাওয়ার সাথে...

আকাশে নীল-সাদার ছবি আঁকে
অলৌকিক শিল্পী...

বরষার জলরঙ!

প্রাচীর
প্রাচীরের ঘেরাটোপে উদ্বাস্তু জীবন
সংসার
জীবিকা ও কাম..
মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে করতেই
স্বপ্নের এক্সপ্রেস ওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে 
মানবগাড়ি, মনের গাড়ি!

এখন মাস্কের প্রাচীর
এখন প্রকাশ্যে মুখোশ, নানারঙা...

মুখোশ
মুখোশ খসে পড়ে 
মুখ টিকে যায় শেষে...

মুখোশ বড়ো সুন্দর
মুখোশের বাক্য ততোধিক!
একদিন একটি মুখোশ খসে পড়তে দেখে
বিস্মিত হই!
প্রথম অভিজ্ঞতা শেষে আর বিস্ময়ে
কাঁপে না অন্তর।

প্রতিদিন শুধু মুখোশ খসা-ই দ্যাখি...
প্রতিদিন শুধু নতুন মুখই দ্যাখি...

রানাকুমার সিংহ। সিলেট