অটোয়া, বৃহস্পতিবার ১২ জুন, ২০২৫
মেঘবালিকার বুকের গন্ধ বিলাস - পারমিতা ভট্টাচার্য

রিপ্রেক্ষিত চাদর খুলেছি সবে
গায়ে জড়িয়েছি আকাশগঙ্গা আলোয়ান
একটা একটা জোনাক- দ্যুতি ফোটে অরণ্যের ফুলেল খোঁপায়
অনাবৃত মাটির ত্র্যহস্পর্শে উন্মাদ শস্যের বীজঘুম......

তার প্রতিটি স্বেদ বিন্দু ছুঁয়েছে আমার শরীর
ব্রততী হয়ে জড়িয়েছি তাকে সপ্তপাকে

আহত পাখির মতো ধুঁকছি আমি,
জং ধরা কারাগারের ফাটল চুঁইয়ে
সে নীরবে ছড়ায় রামধনু রঙ.....

আজ আমি তাকে ছেড়ে যেতে চাই বটে
কিন্তু সে যে ছাড়ে না আমায়.......

সুচারু সেই আগমন বার্তা, অনিন্দ্য তার পতনের নিরভিমান ধ্বনী,
কোনো কিছুতেই তার আক্ষেপ নেই,
যাপনের কোনো ক্লেশ নেই,
অবহেলায় কোনো অতৃপ্তি নেই,
অপেক্ষার কোনো তৃষ্ণা নেই,
অজড় হয়েও পরিযায়ী মেঘ ছুঁয়ে সে
মেঘবালিকার বুকের গন্ধ বিলাস....

সম্মোহনী পারদ কখনও ছুঁতে পারেনা তাকে

এসো, দেখো ত্রিকালস্পর্শী সময়
নিষ্পেষণের প্রতিবাদ ঢালে কমলিনী কেমন
বৃষ্টিভোগ্যা হয়েছে .......
সব অভিমান ধুয়ে নদী হয়ে যায়,
দীর্ঘশ্বাস মিশে যায় তার নিঃশ্বাসে,

               তবু........
আমি সত্যিই ছেড়ে যেতে চাই তাকে
কিন্তু সে যে ছাড়ে না আমায়.........

পারমিতা ভট্টাচার্য
কবি পরিচিতি:- পারমিতা ভট্টাচার্য মূলত একজন কবি। কিন্তু গল্প লেখাও তার নেশা। হুগলী জেলার চাঁদবাটি নামক গ্রামে তার জন্ম। ছেলেবেলা তার গ্রামেই অতিবাহিত হয়। পড়াশোনাও সেই গ্রামের স্কুলে। তিনি মর্ডান হিস্ট্রিতে এম.এ করেছেন। লেখার নেশা তার ছোট থেকেই। বহু পত্র-পত্রিকায় সেই লেখা প্রকাশ পেয়েছে এবং পাচ্ছে। অনেক ওয়েবজিনের সাথেও তিনি সাহিত্য চর্চা করে চলেছেন নিরন্তরভাবে। এবারের বইমেলাতেও "কাব্য বত্রিশের মালা" এবং "স্বপ্ন ছুঁয়ে যাই" নামে তার দুটি বই প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়া "জোনাকি"নামক একটি বইয়ের সম্পাদনাও করেছেন তিনি। "ময়ূরাক্ষী" নামক একটি পত্রিকার সহ সম্পাদিকা রূপেও নিয়োজিত আছেন।