বিকাশ চন্দ'র দুটি কবিতা
আগুন বলয় টানে
অন্ধ সুখের বিলাসী মোহন ব্রত
প্রয়োজন ছিল না জানার অপেক্ষা
দুর্বহ পৃথিবী গর্ভে কত জন্ম মৃত্যু অধোগত।
শতেক কথার লতা গুল্ম জড়িয়েছে কত বার
দ্বিধা হীন পরবাস মেনেছে স্ত্রী মা সন্তান সন্ততি
বিরহ বিচ্ছেদ নয় পোড়া পেট মহার্ঘ্য পরিচয়।
কাল গুণে বিষ নীল ছুঁয়ে গেছে পৃথিবীময় কাল মায়া
পথে পথে পরিযায়ী আঁতকে ওঠে কালো মেঘ ছায়া
গ্লানি ময় সময়ের আকাশ জুড়ে এক সাথে বিদ্যুৎ বলাকা।
বাঁচার বাসনায় বুকের ঠান্ডা শ্বাসের স্পর্শ
নীরব বঞ্চনা ছড়িয়েছে নগর বাসিনীর মোহন খেলা,
দুরূহ শ্রমে রক্তাক্ত পায়ের ছাপ কত শত জাতীয় সড়কে
নিজ ঘরে পাড়া গ্রামে সহজে মেলেনা ঠাঁই
প্রিয় সখা বলে সহজে আসে না চিরন্তন প্রাণের রূপসী সই।
ভালো মন্দ বোঝার নেই কিছু আবারও সেই ভূমিষ্ঠ সময় খুঁজি
আবারও ফেরা সেই আগুন বলয়ে পোড়া পেট টানে রুটিরুজি।
আলো শব্দের হৃদয়
অনন্ত বিশ্বাসে বেঁচে থাকা আলোর সীমানায়
কোনোও লক্ষ্মণ রেখা নেই তবুও অস্পষ্ট আগুন বলয়
অকাল সময়ে তবু ভেজা ঘাসে পায়ের ছাপ
কোন অচেনা সময়ে সর্বাঙ্গ ঢেকে সব আর শব।
সাত সমুদ্র ঘেরা দেশ
কেউ বলেনি এই আছি বেশ
আয় তবে নিশীথিনী চন্দ্রকলা
যতটুকু ভালোবাসা বেঁচে অবশেষ।
আকাশগঙ্গায় অফুরন্ত জীবনের ভেলা
কোন খেলা শুরু কোন খেলা শেষে ফেরা
বিষণ্ণ বাতাসে কান্না নয় তার চেয়ে ভারী
কতটা জলের খেলা কতটা আগুনে
এখন কেউ সহজে আসে না চোখে স্মৃতি রোমন্থনে।
দু'চোখের জলে চূর্ণ সব আলোর অভিলাষ
বাইরে ভেতরে কতটা নমনীয় পাঁজরে কান্না রক্ত শোকে
অনেক যন্ত্রনা ভেঙে পেয়েছি টুকরো টুকরো বিশ্বাস
বেঁচে থাকো সনির্বন্ধ আলো শব্দের হৃদয়ে।
বিকাশ চন্দ
কাঁথি, পূর্ব মেদিনীপুর
পশ্চিম বঙ্গ, ভারত
-
ছড়া ও কবিতা
-
15-09-2020
-
-