প্রবীর রঞ্জন মণ্ডল-এর দু’টি কবিতা
এপার ওপার
ঘুমের বারান্দা পেরোলাম সবে
বাতাসে বারুদের গন্ধ বুকে নিয়ে।
নীল আকাশে সাঁতার কাটছে একদল পাখি
খোলা চোখে অপলক তাকিয়ে আছি
এইতো সবে দিকচক্রবাল জুড়ে।
ওখানে এখন রক্তের দাগ
ওখানে এখন সীমারেখা টানা
বিভেদের প্রাচীর গড়া রাষ্ট্রীয় সীমায়।
ওখানে উড়ছে তবুও একদল পাখি
ডানাতে কোনো ভিসা আঁকা নেই ;
কাঁটাতারও ওদের আঁটকাতে পারেনি।
ওরা কেউ পাসপোর্টও করেননি
ওদের কোনো সচিত্র পরিচয়ও নেই।
এদেশ ওদেশ ওদের শুধু আনাগোনা
শুধু ভরকরে দুটি শক্তিশালী ডানা
ওরা দুইপার একাকার করে।
ওরা ওড়ে শুধু ওড়ে এপার ওপার
পোড়া বারুদের গন্ধ শোঁকে
আর সীমাহীন আকাশ আঁকে দুচোখে।
আমরা আমাদের ঘুমের বারান্দা পেরোলাম সবে
জানিনা সীমানা ছাড়াব কবে!
সেই প্রত্যাশায় দিন গুনি নীল দিগন্ত সীমায়।
নতুন পৃথিবী
রৌদ্র ভিজে কারা দাঁড়িয়ে ওই উদোম উঠোনে
ওখানে সোনালী ধান গর্ভস্থ যন্ত্রণায় কাঁদে
ফাঁদে পড়া বগার মতো গভীর উঠোন জুড়ে;
ধরুনী চড়ুই এসে লুকিয়ে চুরিয়ে মুখে তোলে।
কারা যেন নিশ্চল পাথরের মতো দাঁড়িয়ে দেখে
আকাশে বেঁকে থাকা একফালি চাঁদের মতো।
কাদের কোন যন্ত্রণার পাহাড় জুড়ে মুড়ে যায়
রাতের কুয়াশায় ঝিমধরা ফালি চাঁদের জ্যোৎস্না!
ওখানে ওই দূরে কারও কোনো স্বপ্নে খেলা করে
বাতিস্তম্ভে লেগে থাকা বুনট আলোর রোশনাই!
ওই বুঝি দূরে কারা নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন আঁকছে
বিলকুল কুয়াশা মগ্ন ধুলোয় ধূসর পৃথিবীর মতো
আবার কারা বিষ বাষ্প ছড়িয়ে দিচ্ছে চারিদিকে
নতুন পৃথিবী নতুন থাকুক তাই রেখে যাও লিখে।
প্রবীর রঞ্জন মণ্ডল
দঃ২৪পরগনা
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
-
ছড়া ও কবিতা
-
31-10-2020
-
-