রহস্যের মায়াজাল (পর্ব- ১৪) - সুজিত বসাক
শুভ্রাজিতা জানে কাজটা নিঃসন্দেহে কঠিন , তবুও রাজি হয়েছে। ধীরুকাকা ও মায়াদিদির মৃত্যুটা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি সে। এতদিন জানত ধীরুকাকা হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছেন, এখন জানতে পারছে সেটা আসলে খুন। একজন বাইরের লোক হয়ে রাকিব যেভাবে খুনের কিনারা করতে উঠে পড়ে লেগেছে সেটা দেখে সে তার কাছে কৃতজ্ঞ না হয়ে পারেনি। সেই সঙ্গে এটাও সঙ্কল্প করেছে রাকিবকে সর্বোতভাবে সাহায্য করবে। বিপদ এলেও পিছপা হবে না।
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নেমেছে কুঞ্জবিহারে। জিতুকাকাকে প্রশাসনিক একটা কাজে রাজধানীর বাইরে যেতে হয়েছে, জানে শুভ্রাজিতা। এটাই সুযোগ, ওই মহলে তল্লাশি চালানোর। জিতুকাকার স্ত্রী মীরাকাকিমার চোখে ধুলো দিয়ে কাজটা করতে হবে। জিতুকাকার ছেলে সূর্য প্রতাপও আছে বটে তবে সে নেহাতই ছোট, মাত্র সাত বছর বয়স। বেরিয়ে পড়ল শুভ্রাজিতা। প্রত্যেক ভাইয়ের আলাদা মহল, দরকার না পড়লে কেউ সচরাচর যায় না।
মীরাকাকিমা ওকে দেখে খুশি হলেন। তেমন খানদানি বংশের মেয়ে নন মীরাকাকিমা। কিন্তু অসম্ভব রূপবতী। জিতুকাকা নিজে পছন্দ করে বিয়ে করেছিলেন। আপত্তি তুলেছিল অনেকেই। তার মধ্যে অন্যতম রাজমাতা চন্দ্রপ্রভা। অনেক অশান্তির পর বিয়েটা হয়েছিল।
—সূর্যকে আদর করতে চলে এলাম কাকিমা। হেসে বলল শুভ্রাজিতা।
—খুব ভাল করেছিস। আমি সূর্যের জন্য কুন্দফুলের বড়া বানাচ্ছি, খাবি?
লাফিয়ে উঠল শুভ্রাজিতা — এটা আবার বলতে হবে? তুমি তো জানো তোমার হাতের বড়া আমি কত পছন্দ করি।
—আর কিছু খাবি?
শুভ্রাজিতা ইচ্ছে করে আরও কয়েকটি পছন্দের খাবারের নাম বলল। মীরাকাকিমা রান্নাঘরের দিকে চলে গেলেন তদারকি করতে। সূর্য নিজের খেলা নিয়ে ব্যস্ত। শুভ্রাজিতা ঢুকে পড়ল অন্দরমহলে। পর পর ঘরের সারি। একদম শেষের ঘরটা জিতুকাকা ব্যবহার করেন নিজের ব্যক্তিগত কাজের জন্য। এঘরে অন্যদের প্রবেশ নিষেধ। তালা দেওয়া থাকে। চাবি জিতুকাকা নিজের কাছেই রাখেন। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ডুপ্লিকেট চাবি বানিয়ে নিয়ে এসেছে শুভ্রাজিতা। একবারেই খুলে গেল তালা। চাপা উত্তেজনা নিয়ে ভিতরে ঢুকল। কোনও ভাবেই সময় নষ্ট করা যাবে না। খাবার দাবার তৈরি করতে মীরাকাকিমার বড়জোর পনেরো কুড়ি মিনিট লাগবে। যা করার এই সময়ের মধ্যেই করতে হবে। ভিতরে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দিল। প্রথমে একবার পুরো ঘরটায় চোখ বুলিয়ে নিল। মাঝখানে একটা বড় সেন্টার টেবিল। দুপাশে চেয়ার পাতা। অনুমান করতে অসুবিধা হয় না, মাঝেমাঝে এখানে গোপন বৈঠক বসে। পিছনে আলমারি। কিছু জিনিসপত্র ঠাসা, আবার কিছুটা ফাঁকা। টেবিলের উপর কিছু কাগজপত্র ছড়ানো ছিটানো রয়েছে। দ্রুত হাতে সেগুলো দেখতে লাগল শুভ্রাজিতা।
হঠাৎ নজর গেল ডানদিকের আলমারির মাথার উপর। কী জিনিস ওটা? দূর থেকে বোঝা গেল না। কৌতূহল বাড়ল শুভ্রাজিতার। আলমারিটা অনেকটা উঁচু। একটা চেয়ার টেনে তাতে উঠেও কাজ হল না। উপায় না পেয়ে আলমারির কোণা ধরে ঝুঁকি নিয়ে কোনরকমে উপরে উঠে গেল। ওপরে এসে দেখল জিনিসটা আসলে একজোড়া জুতো। ইংরেজ সেনারা এইধরনের জুতো পড়ে, দেখেছে শুভ্রাজিতা। ভীষণ অবাক হল! জিতুকাকার ঘরে এইধরণের জুতো কেন? জিতুকাকাকে কখনই এইধরণের জুতো পড়তে দেখেনি। তাছাড়া জুতো জোড়া আলমারির মাথায় যত্ন করে রাখার কারণ কী?
নেড়েচেড়ে দেখার সময় মনে হল সোলটা যেন নড়ছে। একটু জোরে সোলের উঁচু অংশ নড়াতেই সেটা ঘুরে গেল। আশ্বর্য! অবাক হয়ে দেখল ভিতরে গর্ত মতোন এবং সেখানে কিছু একটা সযত্নে ভাঁজ করে রাখা আছে। সেটা বের করে অবাক হয়ে গেল। মিহি কাপড়ের উপর সুন্দর হাতের নানান আঁকিবুঁকি। সেসবের অর্থ বুঝতে না পারলেও এটা বুঝল এসব সাধারণ আঁকিবুঁকি নয়। এর মধ্যে নিঃসন্দেহে কোনও গোপন রহস্য আছে। দুটো জুতোতেই পাওয়া গেল। আঁকিবুঁকি গুলো নিয়ে নীচে নেমে এল শুভ্রাজিতা।
খোলা আলমারি গুলো ভাল করে পরীক্ষা করল। জিতুকাকাও যে এসব রহস্যের সাথে জড়িয়ে আছে বুঝতে অসুবিধা হল না। কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণ নেই। এই আঁকিবুঁকি কিসের সঙ্কেত? হয়তো রাকিব বুঝতে পারবে। আজই এগুলো তুলে দিতে হবে রাকিবের হাতে। একটা ফাঁকা আলমারি একটু সরা নড়া করতেই আরও একটা জিনিস আবিষ্কার করে ফেলল শুভ্রাজিতা। একটা গোপন দরজা। আলমারিটা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। তার মানে ওপাশে কোনও গোপন ঘর বা পথ আছে। ডানপাশের দেওয়ালে একটা গর্ত চোখে পড়ল। কিছুটা আন্দাজে গর্তের মধ্যে হাত দিয়ে দেখল একটা আংটা মতো রয়েছে। খুব জোরে টেনে ধরতেই গোপন দরজার কপাট খুলে গেল। ভেতরে চাপ চাপ অন্ধকার। আলো জ্বলে উঠতেই আদিম অন্ধকার এক নিমেষে পালিয়ে গেল। চলতে চলতেই নজরে পড়ল, একটা চকচকে জিনিস পড়ে রয়েছে। এটা আবার কী? হাতে নিয়ে ভাল করে দেখল। চেনা চেনা মনে হলেও এইমুহুর্তে কিছুতেই মনে করতে পারল না। যত্ন করে জামার পকেটে ঢুকিয়ে রাখল। সামনে আরও অনেক বড় ঘর। শুভ্রাজিতা ভেবে পেল না এই ঘরের শেষ কোথায়! হঠাৎ মনে হল এর সাথে পাতালপুরীর কোনও যোগ নেই তো? রাজবাড়ির নীচের পাতালপুরী যে কোনও বানানো গল্প নয় তা সে নিজের চোখেই দেখে এসেছে। সেই রহস্যের জাল যে বহূ দূর পর্যন্ত বিস্তৃত তা আরও একবার প্রমাণিত হল। রাকিব ঠিকই বলেছে, খুব তাড়াতাড়ি এই রহস্যের পর্দা ওঠা দরকার, নইলে বড়সড় অনর্থ ঘটে যেতে পারে।
সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে। এখানে আর থাকা ঠিক হবে না। মীরাকাকিমার মনে সন্দেহ তৈরি হলে আখেরে তাদেরই ক্ষতি হবে। দরজা বন্ধ করে ওই ঘর থেকে বেরিয়ে এল শুভ্রাজিতা। কিছুক্ষণ পর সামনের ঘরে এসে দেখল মীরাকাকিমা তখনও রান্নাঘর থেকে বের হননি। একটু বাদেই অবশ্য দুজন দাসীকে নিয়ে হাজির হলেন। ওদের হাতে ওর ফরমায়েশের খাবার। খেতে গিয়েই হঠাৎ করে মনে পড়ে গেল চকচকে জিনিসটা আসলে কোথায় দেখেছে। আর তর সইল না। কিছুটা খেয়েই উঠে পড়ল। ‘কাজ আছে’ বলে তাড়াতাড়ি করে বেরিয়ে এল মহল থেকে।
হন্তদন্ত হয়ে ঢুকল মায়াদিদির থাকার ঘরটাতে। ঘরটা এখনও আগের মতোই আছে। মায়াদিদির জায়গায় নতুন কেউ আসেনি বলে সাফ সাফাইও করা হয়নি। মায়াদিদির ব্যবহারের নানা জিনিস অবহেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। কিছুটা স্বস্তি পেল শুভ্রাজিতা। যে জিনিসের সন্ধানে সে এসেছে সেটা মিললেও মিলতে পারে। একটু খোঁজাখুঁজি করতে মিলেও গেল। ছোট একটা পাথর সেটিং ব্যাগ। মায়াদিদির খুব প্রিয় ছিল। শুভ্রাজিতা পকেট থেকে জিতুকাকার গোপন ঘরে পাওয়া চকচকে জিনিসটা বের করল। মিলিয়ে দেখল জিনিসটা এই ব্যাগেরই। সঙ্গে সঙ্গে অনেকগুলো প্রশ্ন উঁকি দিল মনের মধ্যে। তার মানে মায়াদিদি নিশ্চিতভাবে জিতুকাকার ওই ঘরে গিয়েছিল। কিন্তু কেন? ওই ঘরে মায়াদিদির কী কাজ থাকতে পারে? নাকি মায়াদিদিও ওর মতো কোনো রহস্যের সন্ধান করতে করতে ওখানে পৌঁছে গিয়েছিল?
গভীর রাতে রাকিবের সাথে দেখা করল শুভ্রাজিতা। জিতুকাকার মহলের অভিজ্ঞতা সবিস্তারে জানাল ওকে। তারপর জুতোর মধ্যে পাওয়া কাপড়ের টুকরো দুটো তুলে দিল। রাকিব ভাল করে দেখে বলল— মনে হচ্ছে বেশ কাজের জিনিস। আপাতত আমার কাছেই থাক। তবে আপনার জিতুকাকা ফিরে আসার আগেই এগুলো যথাস্থানে রেখে দিতে হবে। ফিরে এসে না পেলে ওঁর সন্দেহ হতে পারে। সেটা আমাদের পক্ষে কখনোই কাম্য নয়।
শুভ্রাজিতা বলল— এতে কীসের আঁকিবুঁকি আছে বলে আপনার মনে হয়?
রাকিব হেসে বলল— এখনই বলা মুস্কিল। তবে এটুকু বুঝতে পারছি, একেবারে ফ্যালনা জিনিস নয় ।
—হীরুদার কোনও সন্ধান পাওয়া গেল?
—না। তবে অবিনাশ একটা গোপন সঙ্কেত পাঠিয়েছে। দেখি সেটা কতদূর কার্যকরী হয়। মনে হয় না অত সহজে ওরা হীরুদার বড় কোনও ক্ষতি করার সাহস দেখাবে।
হঠাৎ আনমনে বিষন্ন গলায় শুভ্রাজিতা বলল— আচ্ছা, আপনার কি মনে হয় মায়াদিদি ইংরেজদের গুপ্তচর ছিল?
কী যেন ভাবল রাকিব। অন্যমনস্ক ভাবে স্বর্গোতোক্তি করল— জানি না। তবে স্মিথসাহেবের সন্দেহ রাজবাড়ির কেউ একজন গুপ্তচর … যাকে হীরুদা চেনে এবং আড়াল করার চেষ্টা করে। আপনার হয়তো খারাপ লাগবে তবুও বলছি, মায়ার হওয়াটা অসম্ভব কিছু না।
—আমি বিশ্বাস করি না। করবও না। মায়াদিদি এমন কাজ কোনদিন করতেই পারে না।
—যেটা দেখা যায় সেটাই যে সত্যি এমন নাও হতে পারে। দেখাশোনার বাইরেও অনেক সত্যি লুকিয়ে থাকে। এই সব রহস্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে আমার মন বারবার বলছে, আমরা যা দেখছি সেটা অর্ধসত্য, আবার যেটা প্রকৃত সত্য সেটা ঠিক মতো দেখতে পাচ্ছি না।
—তবে সত্যটা কী?
সেকথার জবাব না দিয়ে রাকিব আচমকা শুভ্রাজিতার হাত ধরে হ্যাচকা টান দিয়ে এক ঝটকায় বাঁ দিকের দেওয়ালের আড়ালে চলে গেল। শুভ্রাজিতা চিৎকার করে উঠতে যেতেই রাকিব ওর মুখ চেপে ধরে বলল— একদম কথা বলবেন না রাজকুমারী … কেউ একজন এদিকেই আসছে।
শুভ্রাজিতাও দেখতে পেয়েছে এবার। ফিসফিস করে বলল— এত রাতে কে এখানে?
—আমিও বুঝতে পারছি না। আপনি যে আমার সাথে দেখা করতে এসেছেন এটা কি কেউ জানে?
—না। জানার প্রশ্নই ওঠে না। আমি ঘর বন্ধ করে পিছনের গোপন পথ দিয়ে খুব সাবধানে এসেছি।
আগন্তুক ছায়ামূর্তি দ্রুত হাঁটছে। আবছা আলোয় চেনা যাচ্ছে না। তাছাড়া তার মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা। রাকিবদের দেখতে পায়নি। ওদের নাকের ডগা দিয়ে সামনের দিকে বেরিয়ে গেল। তার মানে লোকটা শুভ্রাজিতাকে অনুসরণ করে আসেনি। হঠাৎ করে রাকিব বলল — আপনি ঘরে ফিরে যান রাজকুমারী। আমি একটু দেখে আসি লোকটা কে এবং কোথায় যাচ্ছে। এত রাতে এভাবে হন্তদন্ত হয়ে যাচ্ছে কোথায়? কোনও রহস্য তো অবশ্যই আছে।
শুভ্রাজিতা রাকিবের কথার গুরুত্ব বুঝতে পারল। ‘ঠিক আছে’ বলে নিজের ঘরের দিকে রওনা দিল। রাকিব এগিয়ে গেল সামনের দিকে। চাঁদনী রাত, নির্মেঘ আকাশ। পথ চলতে অসুবিধা হচ্ছে না। নিজেকে যথাসম্ভব আড়াল করে অনুসরণ করছে রাকিব। হয়তো আরও নিশাচর মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে চারপাশে! সেকথা মনে আসতেই আরও সতর্ক হল রাকিব।
আরও বেশ কিছুটা চলার পর রাকিব একটু অবাক হল। সামনের ছায়ামূর্তির যেন হেলদোল নেই। যাচ্ছে তো যাচ্ছেই, ওর গন্তব্য কোথায়? হঠাৎ রাকিবের কেন যেন মনে হল, লোকটার ঘুমের মধ্যে চলার অভ্যেস নেই তো? এমন রোগের কথা শুনেছে সে। যদিও চাক্ষুষ কাউকে দেখেনি। কৌতূহল আরও বেড়ে গেল। সেই সঙ্গে এটাও মনে হল, তাই যদি হয় তবে লোকটা মুখ ঢেকে রেখেছে কেন? একজন রোগগ্রস্ত লোক কী অতটা সতর্ক হতে পারে?
লোকটা হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে পড়ল রাজবাড়ির পুরোনো ভাঙা মন্দিরের সামনে। স্ট্যাচুর মতো দাঁড়িয়ে রইল কিছুক্ষণ। তারপর হুট করে ঢুকে পড়ল ভেতরে। রাকিব বুঝতে পারল এই মন্দিরের মধ্যে রহস্যের কোনও সূত্র অবশ্যই আছে। এর আগের বার এখানেই ধোঁকা দিয়ে পালিয়েছিল মুখোশধারী। কে জানে এই ছায়ামূর্তিই হয়তো সেই মুখোশধারী। প্রচন্ড ঝুঁকি মনে হলেও সাহস করে ঢুকে পড়ল রাকিবও। বাইরে চাঁদের আলো থাকলেও ভেতরে অমাবস্যার ঘুটঘুটে অন্ধকার। তবুও আলো জ্বালার সাহস দেখাল না রাকিব। প্রথমে অন্ধের মতো হাতরে হাতরে এগোতে লাগল। কিছুক্ষণ বাদে অন্ধকার একটু চোখ সহা হল। পিলার, দেওয়াল, ছাদ খুবই আবছা হলেও তাদের অস্পষ্ট কায়া দেখতে পাচ্ছে এবার।
আরও খানিকটা এগোনোর পর খুব ক্ষীণ একটা আলোর রেখাও দেখতে পেল। কিন্তু আলোর উৎস কোথায় ঠিক বুঝে উঠতে পারল না। আরও কিছুটা এগোনোর পর বুঝল আলোর রেখা আসছে পাতালের কোনও গহ্বর থেকে। সামনে কিছুটা জরাজীর্ণ ধ্বংসস্তূপ, তারপরেই একটা গর্ত। হঠাৎ করে দেখলে বোঝা মুস্কিল। খুব সাবধানে গর্তের সামনে এসে দাঁড়াল রাকিব। এবার বুঝতে পারল, সেবার এই পথেই পালিয়েছিল মুখোশধারী। ( চলবে )
সুজিত বসাক। পশ্চিমবঙ্গ
-
গল্প//উপন্যাস
-
13-02-2021
-
-