অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
আবার দাঁড়াবো এসে - মুহাঃ হাবিবুর রহমান

বার দাঁড়াবো এসে তোমার বৈরি দিনে কোন একদিন
জানালার ওপাশে তখন ঝুম বৃষ্টির শব্দ-বাতাসে ভেজা সকালের আলোর বিচ্ছুরন,
পায়রা গুলো খোপ ছেড়ে বাইরে যওয়ার অপেক্ষার প্রহর গুনতে ব্যস্ত 
অথবা কৃষকের মাঠে ছোটার আয়োজন, 
নিরুদ্দেশে শেষে যে মানুষ ঠিরবে আঙিনায় তার জন্য কোন আয়োজন নেই 
থাকবেনা অপেক্ষা 
কেইবা জানতে আসবো আবার? অন্তত তোমার জানার বাইরে ছিল সব কল্পনার মতো,
নিদারুন সময়ের বিপরীতে স্রোতের শেওলা, ভাসমান ফেলনা পলিথিনের উদ্যেশ্যহীন যাত্রার মতো
জীবন যাত্রার শেষ মেষ এলাম, মেহগনি গাছের পাতা চুয়ে ঝরা জলের কণায় কান্নার ধ্বনি-
তবুও কি বলবেনা আমার ফেরা একটু হলেও তোমাকে দেয়নি  নাড়া?
আবার দাঁড়াবো এসে আঙিনায়-
যে দিন গেছে উচ্ছন্নে অবহেলায় কালের গহবরে বহু কাল আগে 
স্মৃতিহীন ভাবনার মাঝে কিছুই অবশিষ্ট নেই জেনেও ছায়ার সামনে কথা হবে!
দৃষ্টির সীমানায় এসেও কতকটা বিরুদ্ধ ভাবনা ঠেলে দেবে দূরে, আমি ভাবতে পারিনা! 
যুৎসই জবাবের অপেক্ষা না করে ঘুরে দাড়াবো নাকি চলে যাবো 
সেতো একান্ত নিজের কাছে নিজের মতোই.....।
শেষ যেদিন চলে গেছি দূরে, কতকাল আগে স্মৃতিতে মলিন সন্ধ্যার ছায়া 
রুদ্ধ পথ চলার দুয়ারে তখন খিড়কি আটা-আশাহীন সামনের দিন গুলি মাড়িয়ে
ধুলি মাখা পথের বাঁকা কেঁদে ছিল বোবা কান্নার দলিত উপাখ্যান,
আজো কান পেতে  তার শব্ধ শুনি রাত্রির শেষে-
মুক্তির শ্লোগানে রাজপথের তপ্ত দুপুরে, শূন্য ভিটায় বসে জলোচ্ছাসের ভয়াবহ সকালে, 
তখন নোনাজলের হোলিখেলা ছিল ঝাপালীর বাঁধে,
গাবুরার বসতভিটার আঙিনায়, হরিষখালির দূর্বল মাটির বুননে।
আবার দাঁড়াবো এসে তোমার  সুদিনে কোন এক দিন
কপোতাক্ষ্য-খোলপেটুয়ার বাঁকে বাঁকে সেদিন যাবে বয়ে শান্ত জলের ধারা
নোনা ধরা বারান্দা গুলি লেপেপুছে গোছানো ঝকঝকে মনোহরা।

মুহাঃ হাবিবুর রহমান
প্রভাষক
ইসলামের ইতিহাস বিভাগ
নওয়াবেঁকী মহাবিদ্যালয়
নওয়াবেঁকী, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা।