অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
নিরুত্তর - ড. সহদেব বন্দ্যোপাধ্যায়

কোনো কথা না বলে 
মনে হয় সব বলা হয়ে যায় 
নিঃশব্দের ভাষার তীব্রতা অসীম-
আমি তার গল্পের এমনি একটি বাক্য
যেটি সে পড়তে চাইনি কোনোদিন
বাক্য পড়েছিল নিভৃতে, শব্দহীন!
গল্পের ব্যাঙমা, সেতো ফিরে আসে
বার বার তার ব্যাঙমীর কাছে,
বাতাসে নিঃশব্দ নীরবতায়,
কিছু ভালোবাসার শেষ নেই
আছে শুধু দমবন্ধ-করা শুরু,
দুষ্টুমিভরা মনের আকুলতায়
ডেকে যায়- বৌ কথা কও 
কথাতো বলেনা - তবু বেঁচে থাকে
সেই প্রেমের আকুল আর্তি 
যুগ হতে যুগান্তরে - শব্দহীন!
নিঃশব্দের ভাষা কি খুবই কঠিন?
দেখা হলে তাই হয়তো কথা বলিসনা
আমি কি অপরিচিত? তাহলে
না হয় অপরিচিত-ই থেকে যাবো এইবেলা। 
মনের কথাগুলো, শুধুতো তোকেই বলেছি
ভাষাহীন নীরবতায়- 
শব্দগুলো চিঠি হয়ে পড়ে  আছে কি
পুরানো ডাকবাক্সে?
নাকি পেয়েছে নতুন ঠিকানা?
তুই কি বলিস্? 
অসমাপ্ত গল্পটা সমাপ্তি পাবেনা?
এখন তাই চুপ করে থাকি
পথে কেউ হঠাৎ জিজ্ঞাসা করে ফেলে
কেমন আছি জানতে চায়- 
মনে মনে হাসি, নিঃশব্দে
আর কত জনকে মিথ্যা বলতে হবে
বলতে হবে ভরপুর আনন্দে আছি
আনন্দইতো বেঁচে  থাকার আলো!
আলো - সে যে পৌঁছে যায় সবার আগে
কি তীব্রতা তার গতিতে - শব্দহীন!
কার হাতে আমায় দেবো আজ
আলো ছাড়া- 
আলো সূর্যের হোক বা আশার,
হেঁটে চলেছি আলোর পথ ধরে
সে যে চাওয়া পাওয়ার গন্ডিতে নেই
আজও আমাতে বেঁচে আছে
কথা-না-বলে একান্তে আমার ভালবাসা 
হয়তো তাই এখনও তোকে নিয়ে
লিখে চলেছি ‘এক পৃথিবী আকাশ’
যার কোলে ঝ’রে পড়ে ‘আলোর বৃষ্টিরা’!

ড. সহদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা