অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
কবিতাগুচ্ছ - রানাকুমার সিংহ

আখ্যানকতক
কেঁদে যাও আধপোড়া রাত
হৃদয়ে জমাও অনল

তারপর...

মুখোমুখি হয়ো 

অন্ধচোখে জ্বেলে দিও
সহসা প্রদীপ...


রঙিন বেদনায় নামে
সূর্যের ক্রোধ

ভেঙে যায় প্রোটেকশন!

কাব্যিক অক্ষরে খেলে
উপোসের শিশু...


উপরে নগ্ন চাঁদ
ঢেকে আছে পৌষের কুয়াশা এবং
হিম হিম আঙুলের বিমূর্ত কৌশল!

এভাবেই হৃদয়ে জমে আখ্যান কতক...

বিষুববৃত্ত
ডিজিটাল নোটবুকে জ্বলে আন্তরশিখা!
অদ্ভুত প্রেমের জালে লাফায় চিৎকার
পথ আটকায় চতুর সম্ভাষণ-দেয়ালের
শৈবাল জানায় চিন্তার নিমন্ত্রণ--

বিষুববৃত্তে বসে শুনি ঘুমপাড়ানি গান...

উপহাস
সম্ভ্রান্ত বিকেল আমাকে উপহাস করে─

ডাকসাইটে কথাশিল্পী, ছোটকাগজের সম্পাদক
যশভাব কবি-ছড়াকার কিংবা গবেষক
সকলেই উপহাস করে জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে।

মোটরবাইকে রাস্তায় বেরোলে উপহাস করে ট্রাক 
ধূমপায়ী ধোঁয়া ছাড়ে মুখের ওপর, বানানবিদ 
গোরু-গরু করে চিল্লান! 

এসবের ভিড়ে আমি রোজ থতমত খাই!

ইংরেজির শিক্ষক কটমটিয়ে ইংলিশ বলেন, গানের
গুরু আমাকে বেতাল ভাবেন আর নৃত্যগুরু
পায়ে পান অমুদ্রার সম্ভার! চিত্রশিল্পী ভাবেন...

সম্ভ্রান্ত সকাল আমাকে উপহাস করে
সম্ভ্রান্ত সন্ধে আমাকে উপহাস করে
নির্জীব রাত আমাকে উপহাস করে...

মামার দোকানে এক কাপ লিকার চা শেষে-ঘরে 
ফিরি যখন, গলির মোড়ের কুকুরটি আমার পিছু
পিছু আসে! ঘরে পৌঁছে দিয়ে অদ্ভুত মায়ার স্বরে
ডাকে। প্রতিদিন এভাবেই সে আমার সঙ্গী হয়।

রানাকুমার সিংহ
সিলেট