অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
'জৈবতি' শরীর - মুতাকাব্বির মাসুদ

পাথুরে শহরের তপ্ত শূন্যতায় সংগোপনে হাঁটে
শৌনিক সভ্যতা! 
বুভুক্ষু দালানের সেঁওলা পরা
লোমশ শরীরে রুপোলী রোদের লাশ! 
পাখির ঝরাপালকের সুতোয় বুুনা নিঃশ্বাসের 
লাল-নীল ঘুড়ি। 
অশীতিপর চোখের দীঘল নালায় জোনাকির সাঁকো;
সন্ধ্যার বন্ধ্যা দীপাবলি-কফিন ভরা মায়া। 
দূরে গলির মাথায় মেট্রোসিটির নিষ্প্রাণ ল্যাম্পপোস্ট,
ম্যাড়ম্যাড়ে আলোর কুপি ঝুলে আছে অকারণ! 
আলো-আঁধারির ছায়ায় পোকাগুলো
পাখির কলিজা ভেদ করে দুর্বোধ্য শূন্যতায় হারিয়ে যায়! 
জীবন এখানে ইচ্ছেমতো নিষ্প্রাণ কংক্রিটের ভেতর
মায়ার বিভব খুঁজে;বিগত যৌবনের কংকালঙ্গনে। 
এক সারি নগ্ন বিপন্ন মেহগনির ছায়ায় কতিপয় 
গন্ধগোকুল ; বিভৎস সভ্যতার সঙ্গমে মৃত্তিকায় অনাগত বিভৎস জীবনের- অনৃত গন্ধের পাণ্ডুলিপি তুলে ধরে,
এক দঙ্গল হিজরা নৃপতির সম্মুখে!
একদিকে আভিজাত্যের গেলাসে বিধ্বংসী সভ্যতার
ওয়াইন;অন্য গেলাসে সাত্ত্বিক রোদের পাণ্ডুর বৈধব্য! 
শহরের ভাসমান তপ্ত সিসায় ভেসে বেড়ায় 
সুকৃত লাশের গন্ধ। 
মানুষ তবুও খুঁজে জীবনের স্বাদ 
ভেতরের কলিজা পোড়া সুতীব্র ঘামের গন্ধে। 
সুষমার অন্ধ শৌভিক চোখে বিরহী চাঁদ 
মাটির সানকিতে তুলে ধরে জল ছলছল রুগ্ন আলো
অগোছালো খুপরিতে সুতনুকা-তন্বী বেশ্যা নিবুনিবু লেমের আলোয় খসখসে শরীরের যৌবনী বাথানে 
সে আলো ভরে রাখে 'ফেয়ার এন্ড লাভলির'তোরঙ্গে! 
বিচিত্র মানুষ তবুও ঘরের সুখ ছেড়ে সুখ খুঁজে 
আলোহীন খুপরির অন্তঃপুরে! 
মিউনিসিপালিটির বিকৃত অভিসারিকা 
হিজরা ল্যাম্পপোস্ট-ঠোঁটে রক্তাক্ত লিপস্টিক 
আকাশে কালো মেঘের সীদতি সাতপাক
বিজলির আলোয় দেখি ঝুলে আছে শাশ্বত 
কুমারী বাতির লাল-নীল রকমারী 'জৈবতী' শরীর! 

মুতাকাব্বির মাসুদ। বাংলাদেশ