অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
আষাঢ়ের সন্ধ্যা - আবদুল্লাহ আল আহনাফ

কি নিঝুম বৃষ্টি!
নেশাগ্রস্থ বাতাস তার সাথে খেলায় মেতেছে,
বৃষ্টির বুঝি তাতে খুব আহ্লাদ হচ্ছে;
কারণ মাতাল দোলনায় বাতাস তার চিবুক  স্পর্শ করছে। 
আমি বাতাসের মাতলামি দেখছিলাম আপন মনে 
অমনি অকপটে  মনে পড়ে গেল আষাঢ়ের এক সন্ধ্যার কথা,
ঘন বরিষের জলে সেই সন্ধ্যায় বেড়োবা'র জো’টি নেই 
অথচ আমি সেদিন সন্ধ্যার অববাহিকায়   তোমাকে দেখতে গিয়েছিলাম! 
তোমাকে ছোঁবো  নির্জনতায় ভাবলাম কিংবা হাতে রাখবো হাত ;
কিন্তু কাছে যেতেই তোমার সিক্ত দেহখানা যেন সীসার মতন গলে যাচ্ছিল, 
আর কাছে গেলাম না। 
শ্রোডিঙ্গারের  বেচারা অসহায়  বিড়ালের মতন ছটফট করছিল আমার সমস্ত মন।

নিবেদিতা তুমি আজো কি সেই সন্ধ্যার কথা মনে রেখেছো?
মনে রেখেছো কি আমার অসীম প্রেমময় প্রতিবিম্ব?
তবে আমি তোমার সেই ভ্রমরকৃষ্ণতারাবিশিষ্ট চোখ মনে রাখি, 
বহুদিন তাতে কাজল দিই ;এঁকে দিই আলপনা।

আজকের বৃষ্টি ও সেইরূপ যৌবনা, 
আষাঢ়ের সন্ধ্যাটিও তেমন। 

শুধু তোমার রূপালী স্থির দেবীমুর্তির জায়গায় তুমি নেই
দাঁড়িয়ে আছে কয়েকটা রজনীগন্ধার শাখা কিংবা দু'টি ফুল। 
বৃষ্টির ভরা জলে ভরাডুবি হোক আমাদের প্রত্ন  সময়;
বিষাদে লিখা হোক পুরনো সব অলিখিত পত্র। 

আমি পুরনো প্রেম চাইনা আর নবরূপে তোমার আঙ্গুলের ভাজে আটকা পড়েছে শহরের ইলেকট্রিক খুঁটি,
থাক নস্টালজিয়া,থাক আষাঢ়ের  ঘন বরিষণ 
বৃষ্টির সাথে খেলুক বাতাস;
করুক  আবেগি আলিঙ্গন কিংবা দীর্ঘ চুম্বন।

আবদুল্লাহ আল আহনাফ
শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ