অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
প্রবীর রঞ্জন মণ্ডল এর দু'টি কবিতা

মায়ের প্রতি 
লো এগিয়ে যাই
নদী পারের দিকে এগিয়ে যাই
কখন একটা ব্রীজ হবে
এই ভাবনায় না থেকে 
একটু একটু করে এগিয়ে যাই নদীর দিকে।
ওখানে পাহাড় সমান তুফান থাকুক,
বজ্রপাত হোক,মেঘ ডাকুক;
পথ পিচ্ছিল হলেও এগিয়ে যাই
কারণ ওপারে থাকেন আমার মা।
ওঁর সজল চোখের চাহনি,
আটপৌরে শাড়ির আঁচল
আমার নাড়ীর পরতে পরতে বাঁধা আছে ;
আমি ভুলিনি কখনো ;ভোলা কি যায়?

তাই এখনো প্রতিদিন প্রতি রাতে
দুর্গম পিচ্ছিল পথে 
নদীর বুকে সাঁতার কাটি
নদী পার হতে,নদীর জীবন অতিক্রমে
এগিয়ে যাই অনন্তকাল।
আমার মায়ের শাড়ির আঁচল
নীল আকাশের মতো পৃথিবীর ছাঁদ
ধরা আছে মাথার উপর;
তাই নিশ্চিত এগিয়ে যাই
নদী পার হই
নদীর মতো আপন বেগে।
চলো এগিয়ে যাই
অনন্ত পথ ধরে নদীর দিকে।

স্পন্দনে
কারা যে কখন
ঘুম ভাঙা শোক নিয়ে জেগে থাকে 
রাতচরা নিশাচর পাখির মতো 
ঠিক নেই কোনো।

কত ঝরে যাওয়া মুখ 
বুকের ভিতর জুড়ে করে হাহাকার 
সদ‍্য নিরাকার হওয়া অবয়বগুলো
হৃদ স্পন্দনে তোলে তোলপাড়।

দিনের পর দিনাগমনে 
ভেসে ভেসে ফিকে হয় শোকের পাহাড়।
চলতি জনস্রোতে মিশে যায় জীবন
আবার কোন নতুন শোক 
বাসা বাঁধে আবার করে বুকে।

এতো চিরন্তন!
শোকগাঁথা লোকগাথা হলেও 
হাসি কান্না, সুখ দুঃখ 
পৃথিবীর বুক জুড়ে অলীক কল্পনা নয়
একেবারে দিনের আলোর মতো উদ্ভাস।

প্রবীর রঞ্জন মণ্ডল
দঃ ২৪ পরগনা 
পশ্চিমবঙ্গ,ভারত