অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
প্রবীররঞ্জন মণ্ডল এর দু'টি কবিতা

গুপ্ত গহ্বরে
মেঠো ঘাসের জমি পার হয়ে 
হেঁটে হেঁটে যাই ওই নাম না জানা পথে 
আর এদিক ওদিক সন্ধিগ্ধ চোখে তাকাই
কোনো গোপন সিন্ধুকের দ্বার খোলার অপেক্ষায়।

অজানা দুটি চোখ আমাকে মাপে
প্রাণের কোন বাটখারার আওয়াজ পাই 
অজান্তেই উঠে পড়ি দাঁড়িপাল্লায়
নিক্তি মাপ শেষ হয়ে যায় কখন!

তারপর গোপনবন্ধী হয়ে আশ্রয় নিই
খুল যা সিম সিম গুপ্ত গহ্বরে।
ঘুরি ফিরি তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করি
আর চোখের মণিতে গেঁথে নিয়ে আসি
সমস্ত সঞ্চিত মণিমাণিক‍্য।

দরজায় এসে পুনরায় দাঁড়াই
ভুলে গেছি সে রহস্যপথ;
হারিয়ে ফেলেছি সে বীজমন্ত্র
শুধু মনের শঙ্কা নিয়ে রাতদিন
মনের পাল্লাতে মাপ হয়ে যাচ্ছি এখনো।

এসো ঝাউপাতা
মুদ্র বুকে নিয়ে 
দাঁড়িয়ে আছে ঝাউপাতা
বুকের শব্দে মোহময় আহ্বান।

জলের প্রবাল বুকের উপর
এসে চুমু খায় ওই ঢেউয়ের ঠোঁট 
জরায়ু মুখে রেখে যায় স্পার্ম
কূলেতে ফেলে রেখে যায় ফুটনোট।

ঝাউপাতা শুধু শিৎকার করে 
হাওয়ারা শরীরে উথাল
অগভীর রাতের মিলন বাসরে
ফেলে রেখে  যায় সব জল।

এসো ঝাউপাতা,উড়ে এসো তুমি 
জর্জরিত শরীরে কাম
মোহময় ঢেউ তোমায় জানায়
মহা মিলনের আহ্বান।

প্রবীররঞ্জন মণ্ডল 
দঃ২৪পরগনা
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।