ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে লাবণ্য কান্তার কবিতা
নবীনা সন্যাসী
সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
হেঁটে হেঁটে পৌঁছে গেছে শতবর্ষে,
কে বলে সে আজ হয়েছে সন্যাসী বর্ষীয়ান?
সেজেছে সে এমন যেন নবীনা সন্যাসী।
লাল-নীল-হলুদ আলোকমালায় জ্বলজ্বল-
উজ্জ্বল, ঝলমল-চঞ্চল।
নিশিদিন চলছে সাজসজ্জা,
নতুন মেয়ের কত অভিলাষী অভিমানী ইচ্ছায়।
দিন যায় রাত আসে পথের আলোক হাসে
দাঁড়ায়ে থাকি তাই আমিও বিবশভাবে
ঝিলিমিলি সন্ধ্যায় এমন হেমন্তবায়
এসেছে তার শতবর্ষের সোনালী জন্মোৎসব।
বিহ্বল মন তার কত কথা জাগে প্রাণে
কত কি দেখেছে সে, কতকিছু সয়েছে;
তারই কিছু কথা তার লেখা আছে অন্তরে।
না হোক অন্তরে নাহোক বাইরে
তার কথা লিখেছে সে সবুজ পাতাতে।
কত তার স্মৃতিকথা কত যে বিরহব্যথা
কত প্রাণ ক্ষয়ে গেছে তারই ধুলিকণাতে।
কত গান, কত প্রাণ, কত কবির কবিতা
রচেছে সে তার রঙের তুলিতে।
কত পাখি গেয়েছে তার গৌ্রবগাথা,
কত ফুল রাশি রাশি এখনো সুরভি ঢালে।
কত পথ হেঁটে গেছে কত দিনরাতে সে যে
কত তার সন্তান মরে গেছে এইখানে।
কত তার উত্থান কত যে পতন, পুনর্জাগরণ!
তাদের শোকার্ত -আহত -জীবন্মৃত পদাবলীতে
অবশেষে এসেছে সে আজ শতবর্ষী নবীনা সন্যাসীরুপে।
লাবণ্য কান্তা। ঢাকা
-
ছড়া ও কবিতা
-
27-11-2021
-
-