শীতল চট্টোপাধ্যায় এর দু'টি কবিতা
বিচ্ছেদ
খবর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া সকালবেলা
ঠিকানায় ছুটে গিয়ে শুনেছিল -
গতকাল তার প্রেমিক , দেশরক্ষী হয়ে
দেশের মাটিতেই ছুটে গেছে কোথাও ৷
তাৎক্ষণিক নারীগত আবেগের অশ্রুস্রোত বইলেও ,
সামলে নিয়ে - এক ধু-ধু ধ্বংস স্তুপের প্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখছে ,
ঝলসানো মাতৃভূমির ওপর নিথর হয়ে আছে ,
অজানা প্রশ্ন ,কারণেরা ৷
যেখানে দু'দিন আগেও ছিল সাজানো নগর ,
নগরের পাশে ফুলের বাগান , বাগানের ঘাসে ছিল গল্প ঝরা ওদের ৷
সে গল্পরা শহীদ হয়েছে , ভালোবাসায় শিক্ষিত না হওয়ার
যুদ্ধদেশের যোদ্ধা গোলায় ৷
ধ্বংসের এক প্রান্তে দাঁড়ানো মৃতর মতোই স্থির মেয়ে
তখনও মরেনি বুঝতে পারে , চোখে বৃষ্টিধারা বইছিল বলেই ৷
কোথায় যায়? দিক নেই,পথ নেই, হাঁটা নেই, আশা নেই, আশ্বাস নেই, বুকে গুলি লাগার পর, বুকে তুলে নেওয়ার প্রেমিকও নেই ৷
তবুও , স্বদেশ রক্ষা করতে যাওয়ার অজানায়
প্রেমিকের উদ্দেশে চিঠি লেখে বাতাসের গায়ে ,
প্রিয় যোদ্ধা প্রেমিক ,
তুমি বেঁচে ফিরলে , পাশে থেকো দেশ মায়ের সন্তানেই ,
আর যদি মারা যাও , কাঁদব না ৷ দেশ প্রেমিকের জন্য -
নারী - পুরুষের সীমিত প্রেম সম্পর্কের কান্না , মানায়না বলেই ৷
শান্তি
মানুষ বুঝছে শান্তির কথা
শান্তি বিহীন শব্দ শুধু ,
শান্তি পায়রা সাদা ডানায়
পেরোয় আজকে মরুর ধু-ধু ৷
বুকের সাথে বুকের স্পর্শে
কখনও বা আলিঙ্গনে ,
সদ্ভাব এটা সত্যি যদি ,
শান্তি কেন বিসর্জনে ?
একই মাত্র শান্তি পথে
কোথায় সবাই শান্তিপ্রিয় ?
উড়ছো কোথায় সাদা পায়রা ?
পারলে , তোমার খবর দিও ৷
খবর দিও বিশ্বটাকে
হাঁটতে শুধুই শান্তি পথে ,
সাদা পায়রাই চালক থাকুক
চলমানের বিশ্বরথে ৷
পথ চেতনায় থাকুক শুধু
হাঁটতে দেওয়া শান্তি পা'কে ,
জটিল-কুটিল ,হিংসা হারা
শান্তি পথ হোক সোজায় - বাঁকে ৷
শীতল চট্টোপাধ্যায়
জগদ্দল, উত্তর ২৪ পরগণা
-
ছড়া ও কবিতা
-
09-03-2022
-
-