অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
একটি কল্পনার ড্রাফট - মুতাকাব্বির মাসুদ

মিতো হারিয়ে যাওয়ার পথেই হাঁটছি
ক্রমাগত বিপন্ন সূর্যের তপ্ত মস্তিষ্কের
বিভ্রান্ত উষ্ণতায়
মানুষ তাঁর জীবন থেকে বারবার 
খসে পড়া নক্ষত্রের নীল অধরে
ঝুলেঝুলে ভুলে যেতে চায় দিবসের
রূপোলী শরীর
পরিযায়ী পাখির ক্লান্ত নিসাসে
নিঃসঙ্গ আঁধারে মানুষ সুখের ফানুশ ওড়ায়
ভুলে থাকার সুখের জীবন্তিকা দুখের
ছেড়া কাগজে হারিয়ে যায় 

আমি কারো জীবনের নক্ষত্র নই
নক্ষত্রের ভয়ানক অসুখ এখন
ব্যাধিত গোধূলির আকাশে
নীল সারসের সাদা সাদা দিগন্ত প্রসারিত ডানায়
অসুখেরা ওড়ে বেড়ায় লাল অসুখ নীল অসুখ 
আমি আমাকে ভুলে যেতে চাই 

ঝরে পরা মৃত নক্ষত্র যাত্রা পথে হারিয়ে গেলেও
সে কি আকাশেই ফিরে যায়?
যদি যায়- তো সেই  মাতাল নক্ষত্রের দিকে
চেয়ে চেয়ে ফেরার পথ হারালেও না ফেরার
লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো নিশ্চিত 
আমিও আর ফেরার স্বপ্ন দেখি না

কিছু কিছু অবহেলা আর অপ্রেম 
স্বপ্নহীন করে তোলে ; ফুল পাখি আর
শালবনের কুমারী কুমির কিংবা
তন্বী হরিণীর যৈবতী শরীর
জীবন বড়-ই অদ্ভুত
হৃদয়হীন এক পরম্পরা

মানুষ তবুও বেঁচে থাকতে চায়
জোছনার আধারে লুকোনো বৈরাগী-
দুখিনী চাঁদের সফেদ কোমল পুরুষ্টু বুকে
আমার আজ আর সেই ইচ্ছেও নেই
সে কল্পনার - সেই স্বপ্নেরও দেহাবসান হয়েছে
আমার আর এখন কোনো ফুলেই আসক্তি নেই
মৃত মানুষের এসব থাকেনা! 

ভালো থাকুক জারুল বনের উড়াল যত 
কিশোরী প্রজাপতি 
ভালো থাকুক বাইক্যা বিলের শাপলা সালুক 
ভালো থাকুক বটতলা আর চৌরঙ্গীর
চিতই পুলি ভাপা পিঠা 
ভালো থাকুক কাটাবনের ফুটপাতে শুয়ে থাকা
পুরোনো যতো বই খাতা 
ভালো থাকুক কাঁটার আড়ালে লুকিয়ে থাকা
আমার বিগত যৌবনের চপল চঞ্চল 
পাপড়ি হারা যতো গোলাপ মহুয়া ! 

মুতাকাব্বির মাসুদ 
শ্রীমঙ্গল
বাংলাদেশ