অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
কবিতা - শীতল চট্টোপাধ্যায়

পথ গুলো
থগুলো এখন এনাকোন্ডা ,ময়াল হয়ে গেছে ৷
কাঁটা-আগাছার বাড়বাড়ান্তে ফুলগাছ নিশ্চিহ্ন প্রায় !
মানুষদেরই মজামনের ক্রমশ বিস্তারে
শিশুদের শৈশবনদী স্রোতহারা আজ ৷
বড়দের বড় ইচ্ছের ধুসর আকাশে
ছোটদের চোখ থেকে
অদৃশ্য দূরত্বে হারিয়ে গেছে নীল আকাশ ৷
নতুন সভ্যতার ঝলসানিতে,
নিত্যনতুন বিশ্বরূপ বদলানোর মিছিল শব্দে ,
মাঠ তার মেঠো সুর শোনানোর
স্রোতা পায়নি আর ,
আনন্দের বহিঃপ্রকাশ জানাতে সত্যি ছবিতে
লেজতুলে মাঠে দৌড়ানোর সেই গোরুগুলোকেও দেখা যায়না
মানুষের গৃহপাশে গৃপালিত গোরুগৃহ নেই বলেই৷
খোল বাজিয়ে পথে হাঁটার বৈষ্ণবকাকাকে
এখন পথের পরিবর্তে দেখা যায়
রিয়েলিটি শো'তে ,
কাঁচা বাদামওলার ওজন বেড়ে হারিয়ে গেছে ময়লা পোশাক ,জং ধরা সাইকেল ,
পুরনো পাল্লা - বাটখারা ৷

বেড়া
যেখানটায় টানা তার
দুই দেশ আলাদার সঙ্কেত দিচ্ছে ,
ও বেড়ার গা পেরিয়ে
শীতবিকেলের একই শেষ রোদ দু'দিকেই ৷
না , রোদকে ভাগ করতে পারেনি
আজও ওই বেড়া ৷
খেজুর রস ফোটার গন্ধ এসে
মাখানো হচ্ছে তারে , তারও পারেনি
সেই গন্ধে পারগন্ধ টানতে ৷
জলাশয়ে নামা শীতের পরিযায়ীরা
দেশরঙ জানেনা রঙহীন জলে ,
লালনের শীতবাউল বেড়া চেনেনা আজও,
আজও বেড়ায় পৃথক হলনা
শীতের সর্ষেফুল রঙ ৷

শীতল চট্টোপাধ্যায়
জগদ্দল , পশ্চিমবঙ্গ