অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
বৈশাখের কবিতা - সুলতানা শিরীন সাজি

মন একটা রোদেলা সকালে কবিতা এসে কড়া নাড়বে না, তা কী করে হয়?
দরজা খুলতেই হুড়মুড় করে এলো কথারা!
তুমি বলবে, আমি শুনবো!
না কি আমি বলবো তুমি শুনবে?

তুমি হেঁটে গেলে কোরিডোর থেকে কোরিডোরে!
ঝুলানো বারান্দায় অজস্র চোখ উঁকি দেয়!
কারো ঠোঁটের হাসিতে পুরো সকাল সিম্ফনি হয়ে ওঠে!
তোমার চোখের সামনেই আকাশের মেঘের ভিতর ঢুকে যায় একটা আস্ত এরোপ্লেন! তুমি খুশিতে ছলকাও!
পথ ভুল করে আসা এক পথিক ফোনের ম্যাপে খোঁজে ঠিক ঠিকানা!
তুমি কবে পথ হারিয়ে এক গভীর জংগলে গিয়েছিলে, সেই গল্প শুনতে শুনতেই হঠাৎ ফেইসবুক রিলস এ চলে আসে রনবীর আলিয়া ভিডিও!
আমাদের কথার ভিতর ঢুকে যায় ওরা!
শাহেদ কাপুরের ভালোবাসা থেকে সরে, সাইফের সাথে কেমন জীবন কাটাচ্ছে কারিনা?
কেমন করে এক জীবনেই দুই জীবন কাটায় মানুষ!
কেমন করে নিরন্তর সুখী হয় মানুষ এই দুঃখ ব্যাকুল দিনে?

জীবনের ধারাপাত গুছাতে সমুদ্রে যেতে হয়!
ওখানে গেলেই ঢেউ এসে বলে যায়, বালুকাবেলায় নাম বারবার লেখা যায়!
যতদিন জীবন, ততদিন বেঁচে থাকা!
জানালার বাইরে একটা ঝরাপাতা উড়ে উড়ে বলে গেলো যতক্ষণ আছি, চলো এভাবেই সুখপাতা ছবি হয়ে ভাসি!

আমার কবিতার খাতায় ঝুঁকে পড়ে তুমি লেখো তোমার নাম!
আমাদের হৃদয় বৃত্তে দোল খায় পহেলা বৈশাখ!
আমাদের বেঁচে থাকা এভাবেই খুশি থাকে যদি!
হাত বাড়ালেই মুঠো মুঠো রোদ আলো পাই!
আমিও অজস্র ভালোলাগা বিলাই এই বিরাণ বনভূমে!

কোরাস গাই,
“প্রমোদে ঢালিয়া দিনু মন, তবু প্রাণ কেন কাঁদে রে।
চারি দিকে হাসিরাশি, তবু প্রাণ কেন কাঁদে রে॥
আন্ সখী, বীণা আন্, প্রাণ খুলে কর্ গান,
নাচ্ সবে মিলে ঘিরি ঘিরি ঘিরিয়ে—“

রোদ ছুঁয়ে বৃষ্টি নামে এই প্রেমময় সকাল বেলাতে!

সুলতানা শিরীন সাজি
অটোয়া, কানাডা