অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
একটি ঠিকানাবিহীন প্রেমপত্র - এম এ ওয়াজেদ

স্মৃতির যাদুঘর মাঝে মাঝে পরিদর্শন করি
আমি থাকতাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের 
আমীর আলী হলের ৩৫২ নং কক্ষে 
আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র 
সেলিম কমার্সের মামুন লোক প্রশাসন বিভাগের
আমার রুমমেট৷

রোপিত স্বপ্নচারার অন্তর্রাজ্যের সহজিয়া পাঠ
আমার মানসলোকে নিত্য দোল খেত 
মানুষের প্রেম ভালবাসার আমি আজন্ম ভিখারী
শৈল্পিক প্রকাশের সহজাত অক্ষমতা আমার সঙ্গী ছিল
প্রেমপত্র ! আহা যদি কেউ আমাকে লিখতো৷

অতঃপর সেই কাঙ্ক্ষিত প্রেমপত্র আমার হাতে এলো
নষ্টালজিয়ার পুষ্পরেণুর সুবাস 
মধুমক্ষিকার মধুকোষ পানের মতোই আকাশচুম্বী 
ভাবাবেগে হৃদয়ের ফুলগুলো নতুনভাবে পেখম মেলে
আকাঙ্ক্ষিত প্রিয়ার খামটি খুললাম ;

ভিতরে একটি গোলাপ ফুলের কুঁড়ি
আন্দাজ করলাম কুঁড়িটি সাতদিন আগের
সাদা কাগজে লেখা ছিল ---
"আমি কথা দিলাম 
তুমি কথা দাও 
     ইতি, তোমার নন্দিতা৷"

আনন্দের আতিশয্যে প্রেরকের ঠিকানা খেয়াল করিনি
চিঠি পড়া শেষে তাকিয়ে দেখি
প্রেরকের কলামে নন্দিতা ছাড়া
আর কিছু লেখা নাই৷
আমি তার চিঠির উত্তর দিতে পারিনি
আজ পঁচিশটি বসন্ত শেষে 
মনে মনে ভাবি 
কেউ একজন আমাকে ভালবেসেছিল৷

এম এ ওয়াজেদ
নওগাঁ সদর, নওগাঁ 
বাংলাদেশ