অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
হঠাৎ - মুহম্মদ বজলুশ শহীদ

ঠাৎ  করেই কিছু একটা হয়ে যায়,
হয়ে যায় তোমার সাথে দেখা, 
আমরা হাঁটতে  থাকি  কলা ভবনের 
করিডোর ধরে। 
তুমি হঠাৎ বললে, আচ্ছা তুমি এতো হেংলা কেনো বলতো, 
কেনই বা পিছু পিছু ঘোর। 
আমি বললাম,  হঠাৎ তোমার কী হলো!! 
আচ্ছা আমি অন্য পথে যাচ্ছি, 
সত্যি হঠাৎ আমি সেদিনের মতো 
চলে গেলাম, 
আমি আর ফিরে তাকাইনি তোমার দিকে। 
তারপর বহুদিন আমাদের দেখা নেই,
হঠাৎ একদিন দেখা হলো হিথরো এয়ারপোর্টে। 
তুমি চিনতে পারলে আমাকে- বললে
কোথায় চললে,
যাবে নাকি আমার সাথে, ডাউন স্ট্রিটের কাছাকাছি আমি থাকি। 
হঠাৎ তুমি পারস থেকে তোমার কার্ড বের করে বললে -একদিন চলে এসো বাসায়, অনেক কথা আছে বলার, 
অনেক কথা আছে- শোনার। 
আমি বললাম, হঠাৎ যদি ও পথে যাই একদিন  যাবো। 
কিন্তু, হঠাৎ মনে হলো আমিতো যাব আটলান্টিকের ওপারে, 
প্লেনটাও ছেড়ে যাবে হঠাৎ  ঘন্টা দুয়েক পরে,
তাই বললাম - হঠাৎ যদি কোনদিন আবার দেখা হয়, 
তখন কথা হবে।
এভাবে হঠাৎ সবকিছু হয়, 
ভূমিকম্প হয়, জলোচ্ছ্বাস হয়, 
তারা ছুট হয়। 
কেউ জানে না, কখন হঠাৎ কী হবে
হঠাৎ কী হতে পারে। 
রাজা চলে যেতে পারে, রাজ্য চলে যেতে পারে৷ 
বিপ্লব হয়, বিদ্রোহ হয়, অতিমারি হয়
হঠাৎ সব চূর্ণ বিচূর্ণ হয়। 
আবার তোমার সাথে আমার দেখা হঠাৎ হয়ে যেতে পারে
কলাভবনের করিডোরে আবারো তুমি অপেক্ষায় থাকতে পারো
হঠাৎ যদি আমার দেখা পাও
দেখবে হঠাৎ বদলে গেছি আমি। 

 মুহম্মদ বজলুশ শহীদ
৩ মে, ২০২৩
অটোয়া, কানাডা।