অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
প্রস্ফুটন - সুমন্ত দে

গামীকাল ফুটবে বলে একটি কুঁড়ি ভেবেছিল। 
তারই আগে আজ সকালে জোর করে কেউ ফুটিয়ে দিল। 
মৌমাছিরা ছুটে আসে মধুর আশায় সেই ফুলে। 
কিয়ৎ পরে বুঝতে পারে  সঠিক সময়ে হয়নি বলে-
অভাব রয়েছে মধুর ফলে। 
সকাল পেরিয়ে দুপুর হলো । 

আগামীকাল ফুটবে বলে একটি কুঁড়ি ভেবেছিল। 
তারই আগে আজ দুপুরে জোর করে কেউ ফুটিয়ে দিল।  
প্রতিবাদ জানানো অন্যান্য ফুলকে মাড়িয়ে দিল।
আহত ফুল, ভীষণ একা, অভিযোগ জানিয়ে বলে-
আগামীকাল ফুটবে সে, এটাই তার ইচ্ছা ছিল। 
দুপুর পেরিয়ে বিকাল হলো । 

আগামীকাল ফুটবে বলে  একটি কুঁড়ি ভেবেছিল। 
বিকেলবেলায় তার কাছে আদেশ নামার ভীষণ এক হুমকি এলো। 
হুমকি নাকজ, অদম্য তেজ, ফুটবে কাল জানিয়ে দিল। 
সন্ধ্যা তখন ঘনিয়ে এলে ভীষণ এক হামলা হল। 
আগামীকাল ফুটবে সে ভীষণ তারও জেদ ছিল। 

রাতের শত শত তারা কেমন যেন মুচকি হাসল। 
তা দেখে কুঁড়িটি অনাবিল এক আনন্দ পেল। 
বুঝল সে, ফুটবে কাল, ভীষণ উচ্ছ্বাসে ভরে গেল। 
জয় জগন্নাথ! জয় জগন্নাথ! জয় জগন্নাথ! এই বলে- 
ঘুমিয়ে গেল; পরদিন ফুটবে বলে । 

সেই কুঁড়িটিই  সকালে ফুটে ফুল হলো। 
লড়াই তার সফল করে মায়ের পায়ে স্থান পেল। 

সুমন্ত দে
জলপাইগুড়ি