চলা পথে করজোড়ে থমকে দাঁড়াইএকটি পিঁপড়ার ব্যাস্ততাকে পড়িপৃথিবীতে যতো কোটি প্রাণ ততো কোটি উদ্দেশ্য আমি কাকে কতোটা পাঠ করি?আপন মনের ঘোরে ডুবে যেতে যেতে হারিয়ে যাই নিজেই অচেনা বুনো পথেআমি কাকে পাঠ করি!?পড়ে থাকি তাইআকাশকে ছুঁয়ে বনসাই মন ঘরে পড়ে থাকিবুঝি না তবুও-নক্ষত্র রাতের পাতা খুলে রাখি সদ্যজাত একগুচ্ছ সবুজ ঘাসের চোখে!কোনোকিছুর কোনো ইতিবৃত্তই আর মনে পড়ে নাধ্বংস যজ্ঞের কিনারে দাঁড়িয়েও কি মেলে অন্যরকম এক মুক্তির সুবাস?বুঝি খুব ক্লান্ত ছিলো এ হৃদয় নির্বাণহীন পোড়ো টানাপোড়েনে!দিগন্তে আবীর লিখে যে গোধুলি গ্রাস করে নেয় সবটাই অনুভবযে বালিহাঁস তার রং নিয়ে প্রতীক্ষার ঘরে ফেরে আকুল ডানায়কিছুই তার আমি আঁকতে পারিনি কোনোদিন এই মর্মের ভাষায়ব্যার্থতার সাদা কাগজ শুধু তাকিয়ে রয়েছে উপহাসে, নিবিড় বেদনায়!বুকের সবগুলো অলিন্দে শিমুল পলাশের আগুন জ্বেলে যাকে ভালোবেসেছিলাম একদিনকোনোদিন-ই তো জানতে পারিনি, সে কখনো চিনেছিলো কিনা হৃদয়ের তন্ত্রীতে ওঠা-'প্রথম স্পর্শের সেই মোহিনী কাঁপন'!আনন্দ, বেদনা, শোকপত্রের ঘ্রাণ...সব-ই তো এখন দূর কোনো ধূসর প্রচ্ছদের গানপ্রাচীন মাঙ্গলিক উৎসবের ধ্বনির মতো তবু কেন-এই মায়াটুকু শুধু জেগে রয়, জাগিয়ে রাখে প্রাণ!? ফরিদ তালুকদারটরন্টো, কানাডা
Ashram Bengali Magazine, Ottawa