অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
কয়েকটি কবিতা - তপন কুমার বৈরাগ্য

১) শীতের সকাল
শীতের সকাল কুয়াশাতে
ঢাকলো ওই,
শিশুরা সব হাতে তুলে
নিচ্ছে বই।

রবির আলোর একটু পরশ
পাখির গান,
এই শীতেতে খেঁজুর রসের
আছে দান।

সোনা রোদে হাসি খুশি
সবার মন,
ভোরের শিশির দুলছে ঘাসে
দেখছি বন।

শীতের সকাল ঢাকলে মেঘে
দুঃখ হয়,
শাল-সোয়েটার এই শীতেতে
তুচ্ছ নয়।

২)  শ্রেষ্ঠ জীব
বিশাল বড় আকাশখানা
সাগর ভরা জল,
ভাবনা চিন্তা করো মানুষ
পাবে মনের বল।

বিস্ময়েতে চেয়ে দেখো
এই পৃথিবীর রূপ,
সূর্য-চন্দ্র তারারা কেউ
রয় না কভু চুপ।

ওই দূরেতে পাহাড় মরু
আছে বিশাল বন,
দেখতে হলে পবিত্রতায়
ভরাও তোমার মন।

পাখপাখালি গাছে গাছে
নদীর দুটো কূল,
বনে বনে শোভা নিয়ে
ফোটে হাজার ফুল।

সবার মাঝে থাকে যেন
সত্য সুন্দর শিব,
মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে
আমরা শ্রেষ্ঠ জীব।

 ৩)  উঠুক ফুটে আলো
ন্ধকারের আঁধার টুটুক
উঠুক ফুটে আলো,
আলোকমালায় প্রাণের ডালায়
দূর হয়ে যাক কালো।

আলোর প্লাবন যেন শ্রাবণ
সারা ভুবন জুড়ে,
অমাবস্যায় দীপালোকে
কেউ রবে না দূরে।

মনের কালি ঘুচুক আজি
মোমের বাতি জ্বেলে,
শুভশক্তির আবাহনে
দাও না হৃদয় ঢেলে।

শঙ্খধ্বনি সহ আজি
বাজুক মিলন বাঁশি,
শান্তিসুখের পরিবেশে
ঝরুক মুখের হাসি।

মুক্তকেশী চতুর্ভুজা
অসুর বিনাশ করে,
অশ্রু মুছায় আবালবৃদ্ধ
সবার ঘরে ঘরে।

তপন কুমার বৈরাগ্য
পূর্ববর্ধমান, ভারত