অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
জল রং - শিরীন সাজি

খনো কখনো এমন হয়, রাতভর বৃষ্টি হয় জানালার ওপারে।
বাতাস এসে দরজায় কড়া নাড়ে! 
উইন্ডচাইম গুলো বাজতে থাকে নানান সুরে!
সাতাশটা মোমবাতি জ্বেলে অপেক্ষা জাগে এক ছোট্ট শহরের একলা এক ঘরে!

ওর নাম জল!
অদ্ভুত এক ভালোবাসাময় এই জল! 
যার চোখের মায়ায় কল্পলোকের সব আনন্দরাশি! 
ওর সাথে দেখা হওয়াটা এক চমকিয়া গল্পের কারণ!
এক নির্ঘুম রাতে বসে আছি! 
কোথাও কেউ আছে কি পৃথিবীর?
অজস্র সবুজ তারাবাতি জ্বলছে চোখের সামনে! কত নাম তাদের!
হঠাৎ একটা তারা পড়লো আমার উঠানে!
জল ছলছল ওর চোখ! 
বললো, মন ভালো নেই সেই কবে থেকে!

ও লিখছে ওর দুঃখগাঁথা! 
আমি দেখছি কেমন করে সুখপাতা ছবি হয়ে উঠছে বিষাদের রং!
ও বলে,মানুষ তার আপন মানুষকে কেনো ভুলে যায়?
বলি, ভোলেনাতো কেউ, ভুলে থাকে!

ক্যানভাসে ছবি আঁকে যখন চিত্রকর!
তুলির টানে একে যায় যেমন স্বপ্ন সত্যিকে!
ওখানে ভুল কখনো ভুল থাকেনা! 
একটা ভুল টানের রেখাতেই সাদাবকের উড়াল হয়! লাল ছাতায় বৃষ্টিতে হেঁটে যায় কেউ একাকী, ইট বিছানো পথের ডাকে!

জল কাঁদে,জল!
বলি, “কাঁদো মন, কান্না হৃদয় দিয়ে গাও!”

জল তার স্বপ্ন খুঁজে পেয়ে চলে যাবে জানি!
মানুষের জলেরই স্বভাব !
দুঃখ মেদুরতা চিরকালের নয়!
মানুষ চলে গেলে কেউ কেউ পাখি হয়! 
কেউ রাতভর বৃষ্টি গান হয়ে বাজে!
জল জানে সব!
একদিন চলতে চলতে পেয়ে যাবে সেও জলের কলরব!

শিরীন সাজি
অটোয়া, কানাডা