অটোয়া, বৃহস্পতিবার ২ মে, ২০২৪
নির্মল কুমার প্রধানের কবিতা

১) সবুজ মন

বুজ রঙ মনটাকে বলেছিলাম ---
তুমি তো ঘুরে বেড়াও এদিক ওদিক সেদিক 
কত রঙ ধরতে পারো বহুরূপীর মতন, 
আবার সবুজে এসে ঘর বাঁধো। 
যদি বলি -- পড়ন্ত বেলার হলুদ রোদ্দুর হও, 
তুমি অনায়াসে বাঁক ছুঁয়ে ফিরে যাও উজানীতে 
পর্ণমোচীর বন পেরিয়ে আবার
নতুন কুঁড়িতে সাজিয়ে তোলো শাখা-প্রশাখা। 

নদীর মতো চরে পথ হারিয়েও
আবার নতুনত্বে নিজেকে দাঁড় করিয়ে 
সবুজে -সুনীলে সাজিয়ে গুছিয়ে হেসে ওঠো, 
ডিগবাজি খেয়ে পড়া চিলঘুড়ির মতো
ঢুঁ মেরে উঠে যাও অনেক উপরের আকাশ- নীলে
--- বুঝতে পারিনি তোমাকে, তোমার চরিত্রকে।

জীবনের শেষ প্রহরেও তুমি সবুজ, 
অস্ত গোধূলি কিংবা ধূসর সন্ধ্যায় তুমি থাকো
অজস্র কাঁটায় ঘেরা ফুলের মতন
পূজোর সাজি খুঁজতে খুঁজতে তুমি বীতশ্রদ্ধ হও
সারাজীবনের কর্মফল তোমাকে সবুজ থেকে মুক্তি দেয়নি।

২) মহাজানকা

হাজানকা ছিলেন রাজা, 
       রাণী ছিল সুন্দরী 
রূপে আর গুণে নবরূপে যেন
       স্বরগের অপ্সরী। 

রাজা চেয়েছিল সন্ন্যাস নিতে
      গৃহ ছেড়ে চলে যেতে
রাণী অনুনয় - বিনয় করে
      সংসারে সুখ পেতে। 

উলঙ্গ নারী ক্রন্দন করে
     ধরিয়া রাজার পা
অজন্তার এক গুহার চিত্রে
     অঙ্কিত আছে তা'। 

বৌদ্ধ শিল্পীরা এঁকেছে অমন
 সুন্দর গুহা ছবি  ---
পাথর খোদাই, রঙ তুলি টান
    অক্ষত আজো সবই।

নির্মল কুমার প্রধান
দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ