অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
যাত্রী - মহম্মদ সফিকুল ইসলাম

তল সমুদে ভাঙা নৌকার অভিযাত্রী আমি
স্থায়িত্বের ঠিকানাবিহীন
ভেসে আছি শূন্যতলে
এখনো চিনতে পারিনে নিজেকে নিজেই।

সংখ্যার ইস্তেহার ভরা
একখণ্ড ছেঁড়া মেঘ মাঝ দরিয়ায়
হঠাৎ নৌকার পাল হয়ে গেল;
কোন দাঁড় নেই
মাস্তুল নেই,
দুর্দাম ঘূর্ণাবর্তে বেসামাল তরীতে একা;
ডাহুক আর মৃত নক্ষত্রের দল ডাকছে, আয়!

বুক ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে শ্বাস
বাতাসে শুনতে পেলাম গন্তব‍্যের ঠিকানা 
ঝড়ের মাথায় চেপে বৃষ্টি ঝেঁপে আসতেই 
আমার অলিন্দ নিলয়ে তখন তুমুল যুদ্ধের পদধ্বনি।
এখন আমার ঘুমানোর সময় নেই
দুহাতে শক্ত করে ধরা হাল
দাঁতে দাঁত চেপে আছি কিনারার খোঁজে
ক্রমশ মেঘ সরে গেল;
আর আমনি মেঘ-সূর্যের অস্পষ্ট আলোয়
দেখতে পেলাম ব‍্যস্ত পোতাশ্রয়।

মহম্মদ সফিকুল ইসলাম 
উত্তর চব্বিশ পরগনা
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত