অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
অঞ্জলি দেনন্দী, মমের দুইটি কবিতা

১) হয়নি

যে আকাশটা মেঘে ঢেকে থাকার কথা ছিল,
সেটা উজ্জ্বল রোদ নিয়ে হাসছে, অম্লান বদনে।
যে নদীটার বন্যায় ভাসার কথা ছিল,
সেটা এক হাঁটু জল নিয়ে খুশিতে ছলছল।
যে সময়টা কাটানোর কথা ছিল,
হা হুতাশ করা রোদনে,
সে সময়টা কাটানো হল,
তামাশা ভরা আনন্দের মিলন উৎসবে।
পাল্টে যায় হয়তো ক্ষণ, পল,
তবুও তো সেই একইভাবে পৃথিবীটা ঘুরছেই।
একা একা একা সূর্য্যটা পুড়ছেই।
হাওয়াও বইছে একইভাবে।
হৃদয় স্পন্দিত এখনও ক্ষতি আর লাভে।
তবে,
ভাবনাগুলো বেঁধেছে দল।
ওরা নাকি সকলেই কুটিল জটিল হবে,
না না না রবে
ওটা আর সহজ সরল।
ওর ও মন, বুদ্ধি, সঠিক কথা বল! বল! বল!

২) চাঁপা

চাঁপা গুঁজে খোঁপায়
অঞ্জু মাটি কোপায়।
বাগান তার পরাণ-প্রিয়া।
ফুল ফোটানো যার নিত্য-ক্রিয়া।
বসন্তের কোকিল বসে চাঁপা শাখে
কুহু কুহু কুহু - ডাকে।
মধুর স্বরে বলে, ভালবাস!
চাঁপা ছড়ায় সুবাস।
সুন্দরী সে সুবর্ণা।
বৃক্ষ তার সুপর্ণা।
চাঁপা তলায় অঞ্জু আনমনা।
বয়স তার বছর কুড়ি।
চাঁপার আশেপাশে মৌমাছিদের আনাগোনা।
চাঁপা তলায় আলো ছায়ার লুকোচুরি।
অঞ্জুর হাতে রিনিঝিনি বাজে রূপোর চুড়ি।
গাত্র বর্ণ ওর ঠিক যেন কাঁচা সোনা।
চাঁপা রঙের শাড়ি পরে ও বাগানে এসেছে।
মনাকাশে রঙিন বাসন্তী আশা ভেসেছে।
হৃদয়ে হচ্ছে স্বপ্নের বীজ বোনা।
গুনগুনিয়ে গান শুনিয়ে ওড়ে অলি 
শুনে তা বিভোর হয় চাঁপার কলি।

অঞ্জলি দেনন্দী, মম
নতুন দিল্লী
ভারত