অটোয়া, বৃহস্পতিবার ২ মে, ২০২৪
কবিতা - বিশ্বজিৎ কর

১) অকবিতার কাটাকুটি! 

আবার ফিরে আসতে হবে, 
আসলে আসতেই হবে। 
তুমি তো জানোই, 
পাতা ঝরে পড়লেই নতুন পাতা আসে, গাছে! 
জেনেছ কি, কেন আসে!! 
প্রাণের স্পন্দনে,হয়তো বা পরিচর্যায়! 
মা নতুনের গল্প শোনাত, উল-কাঁটা হাতে নিয়ে! 
চলো যাই একদিন নকশি কাঁথার মাঠে, 
দু'হাত ভরে ছেলেবেলা তুলে নেব স্মৃতির ঝাঁপিতে, 
আকন্ঠ পান করে নেব দাঁতে দাঁত চাপা সংগ্রামের বিশুদ্ধ জল, তেষ্টা মিটবে সর্বহারার পিপাসা! 
ঐ দেখ বনলতা সেন, জীবনের আনন্দ খুঁজছে! 
দেখতে পারছ কি, জানালার গরাদে মাথা রাখা অমলকে, আজও রাজার চিঠি পায়নি। 
সবাই বলে, রাজা নাকি গারদে দুর্নীতির দায়ে। 
অবনীর দল বাড়ি থাকে না, ওদের ভোটার কার্ড "ওদের" হাতে! 
"বেণীমাধব, ও বেণীমাধব" ,যাঃ! চলে গেল! জানো, বেণীমাধব এখন লটারীর টিকিট বিক্রি করে, নেতাদের মাসোহারা দিয়ে! 

কি হল! আঁৎকে উঠলে কেন? 
বুঝতে পেরেছি, এ বদহজমের ঢেকুর! 
নাও, অবাক জলপান করো। 

২) কবিতা খুঁজে নেব! 

ঠিকানা লুকিয়ে রেখ না, 
জমির আল্ বরাবর রহিমচাচার পান্তাভাত নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা রুকসানার হাতে দিয়ে দিও! 
আমি কবিতা খুঁজে নেব! 
কালো হরিণ চোখের কৃষ্ণকলির সন্ধানে আছি, 
বনলতা সেনও নিখোঁজ, 
উপেন গ্রামছাড়া, 
বেণীমাধব ঘরে নেই, 
অমল জানালার গরাদে মাথা রেখে আজও সুধার অপেক্ষায়.........

ঘরে ফেরার পথে রুকসানার হাতে ঠিকানা দিও, 
ভুলে যেও না গো! 
আমি ঠিক কবিতা খুঁজে নেব। 

বিশ্বজিৎ কর
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ