অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
ভালবাসা আসলে কী - শাহ্ বাহাউদ্দীন শিশির

ভালবাসা কী? অপলক তাকিয়ে থাকা,
না কল্পনার নিঃসীম নভে শুধুই নীল ঘুড়ি উড়ানো।
ভাবতে থাকি, কী এই ভালবাসা? 
তাহলে কী? মন গগনে তার কাছে ছুটে যাওয়া।
না তাকে বিনি সুতোয় বেঁধে ফেলা।

উত্তর মনে হয় ঠিক হয়নি। দেখি আরো চিন্তা করে।
বোধ হয় ভালবাসা মানে, 
কথা বলতে বলতে বিনিদ্র চোখে রাত থেকে ভোর হওয়া।
না না ভালবাসা মানে, 
পবনের নৌকা করে অথৈ সাগরে পারি দেয়া।

হতে পারে ভালবাসা মানে,
কাঁপা কাঁপা হাতে তাকে ছুয়ে দেখা।
না ভালবাসা মানে, 
অসীম আকাশ জুড়ে শুধুই প্রিয়ার 
মুখ খনি দেখতে পাওয়া।

কী সব আবোল তাবোল চিন্তা, ভালবাসা মানে 
এগুলোর কোনটাই না। ভালবাসা মানে হলো,
লক্ষ তারার মাঝ থেকে ছিনিয়ে আনা তাকে।
বোকার মত কথা, ভালবাসা আর কিছু না,
সাদা রংঙের মাঝে মনের সব রং মেখে তাকে বুঝে পাওয়া।

না বুঝেই ভালবাসার মানে খুঁজতে আসা, 
ভালবাসা মানে হলো, 
নানা রূপে আর বর্ণে ভালবাসার কথা বলতে পারা।
না, আসতে না পেরে কাছে 
বারংবার দূর থেকে প্রেমে পড়া।

বুঝে বলি ভালবাসা মানে কী,
না বলা কথাগুলো বুকের গভীরে লুকিয়ে রাখাই ভালবাসা।
না ভুল হচ্ছে, জীবন মানে যদি হয় জটিল হাওয়া,
তাহলে প্রেম মানে কি জটিলতর সংকেত, 
এই প্রেমই কি ভালবাসা।

ভালবাসার মানে না জানলেও জানি, 
অবুঝ ফুলে প্রজাপতির পাখায় ভাসা 
হয়তো ভালবাসা।
না, মনে কর রতের চোখে সকাল দেখাই 
ভালবাসা।

ভালবাসা মানে খুঁজেই হয়রান, 
ভালবাসা মানে হলো,
যতদিন বেঁচে থাকা একইভাবে ভালবাসা।
অদৃশ্য চাপা কান্না হৃদয়ের অতলে 
সাজিয়ে রাখা হলো ভালবাসা।

কয়লায় পোড়া হৃদয় নিয়ে কোথায় পাবে ভালবাসার মানে, 
কী করব ভাল যে বেসেছি ফেলে।
খুঁজি ভালবাসার মানে, দেখি তারে নীল অম্বরে।
নাকি কল্পনার ঘরে নানা ঢংয়ে খোঁজাই নিখাদ ভালবাসা।
সারাক্ষণ তাকে স্মরণে আসা মানে ভালবাসা।

না না এত সব অবান্তর প্রস্তাবে গুলিয়ে ফেলা 
ভালবাসা না।
কৃষ্ণচূড়ার ডালে, ফুলে আর পাতায় তার 
গন্ধ পাওয়াই ভালবাসা।
কখনো শ্রাবণের রাতে কিংবা শীতের সাত সকালে তার দেখা মেলাই ভালবাসা।

দূর ছাই কী সব ভাবনা, ভালবাসা মানেই ভালবাসা।
শুধু কী বসন্তের স্পর্শে গান লেখাই ভালবাসা।
না হারানো ক্ষণিকের কথাই জীবনের ভালবাসা।
তোমার সাথে বলা কথার সুখ আর কান্নাই ভালবাসা।
মনের সব রং মেলে তার কাছে পৌছে দেয়াই ভালবাসা।

শাহ্ বাহাউদ্দীন শিশির 
মার্চ ৭, ২০২৪
অটোয়া, কানাডা