অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
এখন সেই নদীও নেই বলে - গোলাম কবির

খন সেই নদীও নেই বলে 
 তার কাকচক্ষু জলও নেই! 
 নদীটার চওড়া বুকে এখন সবুজ ধানের 
 চারাগাছ বাতাসে দোল খায় 
 ঢেউ এর মতো, কোথাও আবার 
 তরমুজ ক্ষেতে ভরে গেছে - 
 যেখানে এখন একটু দূরত্ব বজায় রেখে 
 ট্রাফিক পুলিশের মতো একঠাঁই 
 দাঁড়িয়ে আছে কিছু কাকতাড়ুয়া! 

 আহা! এখন সেই নদীও নেই বলে 
 তার পাড়ে খেয়াঘাটের ব্যস্ততা নেই!  
 সেখানে এখন ভীষণ শূন্যতার 
 শোকসভায় সভাপতির আসনে বসে
 আছে ষণ্ডামার্কা একটা সারমেয়! 

 এখন সেই নদীও নেই বলে 
 সেখানে কলসি কাঁখে জল আনতে 
দেখাই যায় না গাঁয়ের লাজুক বধুকে ! 
 সেখানে এখন কচুরিপানা ভর্তি 
 স্বল্প জলের ওপরে কাদামাটি 
 গায়ে মেখে জিয়লমাছ ধরতে 
 বৃথাই চেষ্টা করে যাচ্ছে কিছু উদোম  
 লিকলিকে শরীরের কিশোরেরা।  
 ওদের চোখে মুখে একরাশ হতাশাসহ
 তীব্র ক্ষুধার্তের ভাব প্রতীয়মান হচ্ছে! 

 আহা! এখন সেই নদীও নেই বলে 
 আমারও মন ভালো নেই! 
 এখন আমার স্মৃতির অ্যালবামে কেবলিই
 মরে যাওয়া সেই নদীটার দীর্ঘশ্বাস 
 তোলপাড় করছে ওর বিগতযৌবনের
 রমরমা দিনগুলো নিয়ে ! 

 আমার হৃদয়ে এখন 
 সেই নদীটার জন্য হু হু কান্নার জল 
 থৈ থৈ করছে বানভাসি শ্রাবণদিনের মতো!

গোলাম কবির
ঢাকা, বাংলাদেশ