অটোয়া, বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪
দু’টি কবিতা - চৈতালী রায়

অস্তরাগের আলোয় 

অস্তরাগের অন্ধকারে পঞ্চ সায়রের তীরে
তুমি হাঁটছিলে------
সেই ক্ষণে একটা কবিতার পাতা ভাসিয়েছিলাম আমি
দীঘির ওই শান্ত জলে----
তুমি জানো না।
জানবে কি করে? আমি তো ওখানে ছিলামই না,
আমি আঁখি-তরী পার হয়ে হয়ে
ঠিক দাঁড়িয়েছিলাম তোমার কাছে এসে।
দেখলাম, তোমার উদার চোখ তাকিয়ে থাকে,
কোন এক অজানিতের দিকে----
আমি তো কত ডাকলাম, তুমি শুনলে না,
শুধু নীরবে হেঁটেই যাও---
কি যে বলতে চাও----সবই কিন্তু আমার জানা।
আমি কত হাসলাম----আমার হাসিতে
দীঘির জলে ঢেউ উঠলো----তুমি তাকালে না।

তুমি কিন্তু একদিন বলেছিলে----
আমি তুমি ওই দীঘির ধারেই একটা ঘর বাঁধবো,
দীঘির জলের ঠান্ডা হাওয়ায়----- 
         তুমি কবিতার খাতার ওপরে ঘুমিয়ে পড়বে।
আমি তোমায় ঘুম পাড়াবো !!!!
আচ্ছা, তুমি কি আমাদের সেই স্বপ্ন-সংসারের কথাই
ভাবছিলে??
খুব বেশি ঠিক, জগতে হয় কি কখনো?
তাই বুঝি ও "ঘর"হলো না গড়া।
দেখে নাও,দূরের ওই তারাদের বুকে আমাদের কথা,
রূপকথায় ধরা পড়ে----দেখেছো তো??

অর্ধনারীশ্বর 

তুমি আমার আত্মার স্পর্শ নাও
আমি আজও তোমায় হাজার রাত 
উপহার দিতে পারি-----
তুমি শরীরের সিঁড়ি বেয়ে উঠে এসো
আমি স্বর্ণ বেদিকায় সাজিয়েছি ---পারিজাত ফুল
তুমি সাধনার মন্ত্র শিখে নাও।

আমি ষোড়শ শক্তির সমাহিত রূপ
তোমারই শক্তিতে লীন হতে পারি---- 
             আত্মার অধীশ্বর-----যদি হতে চাও আমার
শরীরের সিঁড়ি বেয়ে উঠে এসো স্বর্ণ বেদিকায়।

আমি হ্লাদিনীর শক্তিতে---শ্রী ও হ্রীর সম্মিলিত রূপ
আজ জন্ম হবে ---
অন্য এক পৃথিবীর।

চৈতালী রায়
কলকাতা, ইন্ডিয়া।