দাঁড়িয়ে থাকি একাএমনই এক উজ্জ্বল রাতেহৃদপিণ্ড হলো সোডিয়াম লাইটচকচক জ্বলে উঠলো মন ভাঙা গিটারে গেয়ে গেল গানজলের তলে নড়ে উঠল জলজ মহাপ্রাণ। একদিন এই শহরে আমি ছাড়া তার অপেক্ষা ছিলো নারাতের সরুগলি আমাদের পদশব্দেফিরে পেত আকস্মিক মানুষের দেখা। আজ কতো মানুষ তার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে শুধু আমি দাঁড়িয়ে থাকি একা।ঘর বাঁধলেই সংসার হয়নাতুমি এখানে তাকাও জ্বলন্ত চোখের সরুভূমিতেদেখো সাগর আছে নদী আছে ! তুমি এখানে তাকাও ঠিক যেভাবে তাকাতে হয়মাখনের একটু উপরে এখানে পর্বত আছে শৃঙ্গ আছে! ডায়রি কলম অথবা অস্তরাগ সন্ধ্যার কবিতাকিছু কি দেখতে পাচ্ছ তুমি? দেখো খালি চোখে সব দেখা যায় না তার জন্য তাকাতে জানতে হয় ভেতর থেকেউপর থেকে যদি ভেতর না দেখতে পারতবে তুমি ডোবে যাবেসিফিলিস গণোরিয়ার স্রোতে এবং শেষ পর্যন্ত নিজেকে আবিস্কার করবেকোন এক রোবটিক্স ক্যাসিনোয়।ডেট ফেল গমে আর পেট পুরে নাশ্রমিক ও এখন দুর্ভিক্ষ মুছতে জানেশোন পাগলী মেয়েএতযে প্রেম প্রেম কর ঘর বাঁধলেই সংসার হয়না-যেমন সন্তান জন্ম দিলেই হয়না জননী ।অন্ধকারে মুখ চেনা যায়রাত হলেই ঢুকে যাই সিরামিকের কৌটার ভেতরএকটি হিমাঙ্গ হাতআমাকে বের করে খাওয়ায় সকালের রোদআমি টনটন করে জেগে উঠিকোন এক ধূলো পড়া হৃদয় বীণায়।বস্তায় ভরা অভিযোগ নিয়ে প্রতিদিন যাইজীবনের হাঁটেসোনার তেলে ভেসে যায় ইজারাদারের মুখসস্তায় বিক্রি করি অনাহূত সকাল-বিকাল।সন্ধ্যা সময়টা প্রার্থনারদাদু বলতেন এ সময় পৃথিবীর দেয়াল ফেটেনির্গত হয় অন্ধকার অশ্রুএসময় মানুষের মুখ চেনা যায়।নরসুন্দরদৃশ্যের আড়ালে লুকিয়ে যায় বিড়াল অভিনেতার ক্লান্তি যেন হয় না আর শেষসিংহ মামা কেশের জোরে এক প্লেটে ভাগ করে দেয় তিনটি আকাশ হাজারটা ছায়া দৌড়ে চলে নভোমণ্ডলে। রাহুল স্টাইলের ব্রেকআপ শেষে এখন পর্যন্ত সুস্বাদু কাস্টমার নেইভবিষ্যতে ফেলে আসা অতীত দেখতে ঘটমান বর্তমান স্ক্রিনে যুগের পর যুগ তাকিয়ে থাকে নরসুন্দর। ধ্যান ভাঙার পর বোঝতে পারোঅবচেতনে বেশি ভাবলে মানুষ কঙ্কাল হয়ে যায়।সন্ধ্যার গল্পআজ সন্ধায় যে শিশুটি এসেছিলএকটি লোহার শিল্পালয়ে কাজ করে সেআগুনে জ্বলা লোহার মতোইজ্বলন্ত তার হাত।বাদামী নিঃশ্বাসের একটি নিঃশব্দ গল্পরক্তক্ষরণের সাথে ঝরেছিল আয়ুতেএকজন পথিক গল্পটি তুলে নিতে চাইতেইরক্তের দেয়ালে অঙ্কিত হয় পদচিহ্ন।পর্বত ছুঁয়ে যায় অসুস্থ লালানিঃশব্দ অন্ধকারে দাঁড়িয়ে শিশুটি ভাবছেকাল সন্ধায় গল্প নিয়ে কার কাছে যাবে।দালান জাহান । টাঙ্গাইল