প্রকৃতিকে র্নিমুল করে বাঁচা যায় না - শর্মিলী শর্মি
হে মানুষ আর পশুপাখি মেরোনা
প্রকৃতির অকৃত্রিম সৌন্দর্যকে অকারণে কেঁড়োনা।
নিজের স্বার্থের জন্য, নিজের আত্ন তৃপ্তির লোভে কেনো, কেনো, কেনো, এই বর্বরতা, কেনো পৈশাচিকতা, কেনো এত অমানবিকতা!
আঘাত করার একটি সীমারেখা থাকে যখন'নি তা অতিক্রম হয়ে যায় তখন সেটা অবমাননায় রুপ নেয়। মানবজাতি প্রকৃতিকে আঘাত করতে করতে অবমাননার ঊর্ধ্বে চলে গেছে!
বিশ্ব আজ এমন রুপ ধারণ করেছে যে আজ আর মানুষকে মারতে মানুষের হাত কাঁপে না! চোখের সামনে মরতে দেখলে কেউ এগিয়ে আসে না!
মানুষ এখন বনের ক্ষুর্ধাত্ব পশুর চাইতে মাংসাশী আর রক্তের স্বাদ পেয়ে বদ্ধ পাগল উন্মাদ হয়ে গেছে; বর্বরতার উচ্চশিখরে পৌঁছে গেছে!
যার ফলে আজ মানবজাতিই ধ্বংসের মুখে অপারগ মৃত্যুর কাছে। চারিদিকে শুধু লাশের স্তূপ হেরে গেছে মানবজাতি আজ প্রকৃতির কাছে।
আজ বর্বতার শেষ সীমানার পথও রোদ্ধ কিছুদিন পর হয়'তো মানবের মেরে খাওয়া সেই পশুপাখিদের আহার মানবজাতি নিজেই হবে!
রাস্তায় পড়ে থাকা দেহ'কে চিল শকুন কুকুর ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাবে এটাই প্রকৃতি!
নামধারী শ্রেষ্ঠ জীব কত সহজে অবলীলায় বন উজাড় প্রকৃতি ধ্বংস করে বনের পশুপাখি শিকার করে গাছ পালা কেটে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিলাসিতায় মেতে উঠেছিল!
আজকে কোথায় সকল বিলাসিতা ভোগ রাজকীয়তা!
আজ কেনো রাস্তায় পড়ে মরতে হয়
আজ কেনো কেউ বিরুপ প্রকৃতির সাথে লড়াই করে নিজেদের রক্ষা করতে পারছেন না!
'প্রকৃতি তাঁর হিসেব ঠিক সময়'মত ফিরিয়ে দেয়'
শুধু মানুষ নিয়ে নয় পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে সবাইকে নিয়ে যার যার জায়গা ছেড়ে একসাথে বাঁচতে হয়।
শুধুমাত্র নিজেদের শ্রেষ্টত্ব টিকিয়ে রাখতে গিয়ে প্রকৃতির সাথে মানবজাতি যে নিকৃষ্ট আচরণ করেছিল এবং করেছে তা খুবই দুঃখের এবং লজ্জার। মানবজাতি ভুলেই গিয়েছিল প্রকৃতিকে র্নিমূল করে বাঁচা যায় না।
যার যার অবস্থানে ফিরে আসা প্রাণী হোক আর পশু; তাদেরকে হত্যা করে নিজেদের অবস্থান শ্রেষ্ট প্রমাণ করে টিকিয়ে রাখতে চাওয়া নামধারী শ্রেষ্ঠ জীবদের ধীক।
'বেঁচে থাকার অধিকার সকল প্রাণীর সমান হউক'
দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক পৃথিবী, সকলের মঙ্গল হউক।
শর্মিলী শর্মি। বাংলাদেশ
-
নিবন্ধ // মতামত
-
09-04-2020
-
-