অটোয়া, রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
শিকড় খুঁজতে বেরিয়ে - সুনির্মল বসু

     আমার জন্ম কলকাতার চিত্তরঞ্জন সেবা সদনে, আমার বেড়ে ওঠা এই বাটানগর উপশহরে। চোখের সামনে ছোটবেলা থেকে দেখেছি, অজস্র কোয়াটার, হোস্টেল, ক্যান্টিন, হেড অফিস, বাটা মেডিকেল, বাটা সিনেমা হল, বাটা ক্লাব, রিক্রিয়েশন ক্লাব, বাটা স্পোর্টস ক্লাব, বাটা স্টেডিয়াম, আরো কত কি। সেই বাটানগরের সঙ্গে বর্তমান বাটানগরকে মেলানো যাবে না। চোখের সামনে এই নগরীর উত্থান ও পরিবর্তন দেখলাম। সেই সব ভালবাসার মানুষগুলো নেই, সেইসব প্রাণবন্ত দিনগুলো কোথায় গেল। সেদিনের ঘটনা গুলো আজ ইতিহাস।
     অবশ্য ইতিহাস লেখা আমার কাজ নয়, আমি এই উপশহরের মানবিক ভুবনের একটা সালতামামি লেখবার চেষ্টা করছি। এজাতীয় লেখায় স্বাভাবিকভাবেই সেই সময়ের প্রেক্ষাপট ও পাত্র-পাত্রীরা এসে পড়েন। সেভাবেই আমার লেখাতেও, না চাইলেও ইতিহাস মাঝে মাঝে ঢুকে পড়বে। তা হোক, মানবিক দিক থেকেই আমি এই শহরের কথকতা লিখতে চাই।
     এই জায়গাটা ঘিরে অজস্র স্মৃতি, অজস্র কথা জমে আছে মনে। মাটির টান বলে একটা কথা আছে না, সেভাবেই ফিরে দেখি, আমার অঞ্চলকে। এখানকার সবকিছু যে ভালো, তা আমার মনে হয় নি কখনো। একসময় এখানকার সাংস্কৃতিক ভাবনা যত জোরালো ছিল, আজ আর তা নেই। তাই আমি অতীতের গৌরবময় দিন গুলোর দিকে তাকিয়ে থাকি। বড় মায়া জড়ানো এই উপশহর। কত স্মৃতি, কত কথা। আজ একটু পিছন ফিরে এই জায়গাটির ইতিহাস ও অতীতের গৌরবময় দিন গুলোকে ফিরে দেখি।
     অবশ্য এখন জায়গাটার নতুন নাম হয়েছে, রিভার সাইড। অনুসন্ধান করে যতটুকু জেনেছি, তাতে এই জায়গাটার প্রাচীন নাম ছিল বিবির হাট। পরবর্তীকালে ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী এই অঞ্চলটির নাম হয় কিসমত নঙ্গী। নিজেরে হারায়ে খুঁজি গ্রন্থে বিখ্যাত অভিনেতা অহীন্দ্র চৌধুরী লিখেছিলেন, এখানেই সিনেমা স্টুডিও গড়বার ইচ্ছে ছিল তাদের, পরবর্তীকালে যা টালিগঞ্জে স্থানান্তরিত হয়। সামনে নদী থাকায়, যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা হবে ভাবা হয়েছিল।
     আবার এখানকার কিছু অংশের নাম হয়, মহেশতলা। মাঝিরা নদীর পাড়ে নৌকো নোঙর করতেন, সেই থেকে নাম হয় নঙগী। স্টেশনের নাম আজও নঙ্গী রয়েছে। একসময় মহেশ চন্দ্র সাহা মদ বিক্রি করে ,ধনী হয়েছিলেন। ইংরেজরা তার কাছে অর্থ দাবি করলে, বিশাল চেহারার মহেশ বাবু তাদের ঢেকি নিয়ে তাড়া করেন, জানা গেছে ,তার নাম অনুসারেই মহেশতলা নামটি এসেছে। ব্যানার্জীর হাটের শীতলা মন্দির যেদিন পাকা মন্দির হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল,সেদিন রাতে এখানে যাত্রার আসরে অভিনয় করেছিলেন বিখ্যাত অভিনেতা ছবি বিশ্বাস। নীলদর্পণ নাটকে তোরাপ চরিত্রে অভিনয় করে গিয়েছেন অভিনেতা জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়।
     আমার ছাত্র স্মরণজিৎ চক্রবর্তী লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন, সাহিত্যে সমাদর পেয়েছেন লেখনী গুণে।  একসময় জীবন ময়রার মিষ্টির দোকানের খুব নাম ছিল। এখন কালিকা মিষ্টান্ন ভান্ডার ও সুতৃপ্তি সেই সুনামের অধিকারী হয়েছে। জীবনদার পরোটার দোকান একসময় যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছিল। এখন শ্রীপতির দোকান, আহার, বাদশা যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে।
     অভিনেতা উত্তম কুমারের সংগীত শিক্ষক নিদান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি মহেশ তলার রায় পাড়ায়। ভারতবর্ষের প্রাক্তন স্থল বাহিনীর প্রধান জেনারেল শংকর রায় চৌধুরীর আদিবাড়ি মহেশতলার রায় পাড়ায়। এখানে এসেছেন ক্রিকেটার কপিল দেব ও সৌরভ গাঙ্গুলী। এখানে সভা করে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র সেন, মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
     বিশ্বের তৃতীয় জুতার কারখানা তৈরি করেছিলেন টমাস বাটা। ফ্যাক্টরি ম্যানেজার বারতোস সাহেব কারখানার রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতেন, কর্মী নিয়োগের জন্য। নঙগী অঞ্চলে ছিল গরীব মানুষের বসবাস। চ্যাটার্জি বাড়ি ছিল জমিদার বাড়ি। আজকের নঙ্গী স্কুল ছিল সেদিন জমিদারদের কাছারিবাড়ি। জমিদারদের খাজনা আদায়ের বাড়ি। পরবর্তীকালে তৎকালীন ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট শ্রদ্ধেয় প্রভাস চন্দ্র পালের বদান্যতায়  তাঁর জমি ও  ইট দিয়ে নঙ্গী স্কুল গড়া হয়। এই স্কুলকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মাননীয় অসিত রঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি বাটা স্কুলকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছিলেন মাননীয় কালী বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেবব্রত ভরদ্বাজ মহাশয়। অন্যদিকে, বাটা গার্লস স্কুলকে উচ্চতা দিতে পেরেছিলেন তৎকালীন প্রধান শিক্ষিকা মাননীয়া লীলা রায় এবং পরবর্তীকালে মাননীয়া নমিতা ঘোষ মহাশয়া।
     শিল্প শহর  সাজানো সুন্দর ছিল সে আমলে। কোয়াটার, সিনেমা হল, ফোয়ারা, অফিসার্স ক্লাব, সু শপ, অডিটোরিয়াম, সবই ছিল কেতাদুরস্ত। এখানে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এসেছেন। এখানে এসেছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রাক্তন সেনাবাহিনীর প্রধান শ্যাম মানেকশ, সংগীত সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেসকার, উদিত নারায়ন, হেমলতা, হরিহরন, অনুপ জালোটা প্রমূখ গুণী শিল্পীরা। এসেছেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হেমা মালিনী।
     তেনজিং নোরগে, সাঁতারু মিহির সেন, পিনাকী চ্যাটার্জী থেকে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান মহামেডান স্পোর্টিং এর প্রায় সব খেলোয়াড় বাটা স্টেডিয়ামে খেলে গিয়েছেন। কলকাতার মাঠে এখানকার কৃতী খেলোয়াড়েরা হলেন, শংকর ব্যানার্জি, মানস ভট্টাচার্য্য, শঙ্কর অধিকারী, বিশ্বজিৎ বসু, স্বপন রাউত, কৃষ্ণেন্দু রায় ও শান্তি মজুমদার প্রমূখ। বাটা স্টেডিয়ামে খেলে গিয়েছেন অবনী বসু, আমিয় ব্যানার্জি, রাম বাহাদুর, বীর বাহাদুর, বালু, দীপু দাস, অরুময় নৈগম, এ,টি,রহমান, মোহন সিং, সুরিন্দার কুমার, বিক্রমজিৎদেবনাথ প্রমুখ।
     সাহিত্যে অবদান রেখেছেন, ডক্টর দীনেশচন্দ্র সিংহ, রত্নেশ্বর বর্মন, প্রভাস কান্তি ভদ্র, পিনাকী রঞ্জন গুহ প্রমূখ। সাপ্তাহিক বর্তমান পত্রিকার দীর্ঘদিন সম্পাদনা করেছেন পান্নালাল ঘোষ। একসময় তিনি লোকসেবক পত্রিকায় যুক্ত ছিলেন, বর্তমানে শিলাদিত্য পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। এখানকার প্রধান স্কুল গুলো হল, বাটানগর উচ্চ বিদ্যালয়, বাটানগর গার্লস হাই স্কুল, নঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়, বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির, জগতলা সূর্যকুমার বিদ্যালয়, নিউ ল্যান্ড প্রাইমারি স্কুল, মহেশতলা হাই স্কুল প্রভৃতি।
     একসময় এই অঞ্চলে সংস্কৃতির চর্চা ছিল লক্ষ্য করার মতো। বেশ কয়েকটি নাট্য সংস্থা উন্নত মানের নাটক পরিবেশন করতেন। বাটানগর থিয়েটার ইউনিট, শতরূপা, ত্রিতয় নাট্যগোষ্ঠী, বাটানগর থিয়েটার ওয়ার্কশপ, যাত্রী গোষ্ঠী, এরা বিভিন্ন সময়ে কিছু ভালো সৃষ্টি উপহার দিয়েছেন। এখানে অভিনয় করে গিয়েছেন উৎপল দত্ত, জোছন ঘোষ দস্তিদার প্রমুখ খ্যাতিমান মঞ্চ শিল্পীরা। দুর্গাপুজোর পাশাপাশি কালী পুজো, সরস্বতী পুজো, বড়দিন পালন, ঈদ, মহরম এর আয়োজন ছিল। আজ এখানে সংস্কৃতির ক্ষেত্রে ভাটার টান, এই অঞ্চলেও এখন আর রবীন্দ্র জয়ন্তী বা সাহিত্যচর্চার আয়োজন খুব বেশি নেই। বছরে একবার নাম কো আস্তে লিটল ম্যাগাজিন মেলা মানুষের বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেনি। অথচ, একসময় বাটানগর এর দুর্গাপুজো ছিল বড় আকর্ষণের। প্রতিদিন রাতে যাত্রা অনুষ্ঠান, তাতে অংশগ্রহণ করতেন ভারত বিখ্যাত শিল্পীরা। অনুষ্ঠানের মধ্যে প্রাণ ছিল, যত্ন ছিল। আজকাল বৈভব বেড়েছে, অনুষ্ঠানের সেই প্রাণ আর নেই। সেই স্বপ্নের বাটানগর এখন আর নেই। বিলাসী প্রাসাদের পাশেই বস্তি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দূরত্ব স্পষ্টতই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। আগের মত অনুভবী মানুষ চোখে পড়ে না। বাটার কারখানা, যা ছিল মানুষের গর্ব, ইদানিং তার সংকীর্ণ দশা মনে কষ্ট দেয়। সেই আমলে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বা ক্লাব ফাংশনে নাটক অভিনয় হত। ক্যালকাটা থিয়েটার সেন্টার থেকে অভিনয় করে গেছেন ধনঞ্জয় বৈরাগী। পরিবেশিত হয়েছে, নাটক, এক পেয়ালা কফি।
     এখন সংস্কৃতির সেদিন আর নেই। সেই পুরনো হৃদয়বান মানুষগুলো  আর দেখিনা। বিপদে-আপদে তারা পাশে এসে দাঁড়াতেন। এম,এ পড়বার সময়, বাটা রিক্রিয়েশন ক্লাব থেকে আমাকে অবাধে বই পড়ার সুযোগ দিয়েছিলেন শৈলেশ চক্রবর্তী। সে ক্লাব এখন বন্ধ। মায়ের শরীর খারাপ হলে, পাশের বাড়ির মাসিমা রান্না করে খাইয়ে স্কুলে পাঠাতেন। পড়াশোনায় ফাঁকি দিলে, পাড়ার মেসোমশাই বকতেন। পাশে ডেকে পড়াতে বসতেন। আজ সেসব কল্পনা করতে পারিনা। পুজোর সময়ে আকাশ বাতাস বদলে যেত। রাস্তার পাশ থেকে বাবা নতুন জামা-কাপড় কিনে আনতেন। বাটার জুতো মাথার কাছে রেখে ঘুমোতাম। বাটা ব্রিজের উপর সুন্দর একটা গেট হত। নিউল্যান্ডের ঠাকুর বানাতেন রাখাল পাল। বাটার ঠাকুর বানাতেন মধুসূদন পাল বা শম্ভু পাল। ভীষন কম্পিটিশন ছিল। বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি ও মুখোশ দেওয়া হতো। ভারী আনন্দের ছিল সেই সব স্বপ্নের দিন। অভিনয় করেছেন শান্তি গোপাল, সুজিত পাঠক, দিলীপ চ্যাটার্জী, জ্যোৎস্না দত্ত, বীণা দাশগুপ্ত প্রমুখ।
     চেনা উপশহর টা দিনে দিনে কেমন বদলে গেল, অবাক হয়ে দেখলাম। পুরনো কোয়াটার এখন আর নেই। বদলে গগনচুম্বী প্রাসাদ। পুরনো মাসিমা মেসোমশাইরাও নেই। অনেক রাতে বাড়ি ফেরার সময় কোয়াটারের মাসিমারা জিজ্ঞাসা করতেন, তর মায়ে বাপে ভালো আছে। এখন আর এই প্রশ্ন কেউ জিজ্ঞাসা করেন না। সময় বদলে গেছে, সমাজ বদলেছে, বদলে যাচ্ছে মানুষের যাপন পদ্ধতি। দুর্গাপূজার সময় মেদিনীপুর থেকে পট শিল্পীরা আসতেন আগমনী গান শোনাতে। আজ আর তাদের দেখিনা। এই সময়ের পক্ষে তারা একেবারেই অচল। সত্তরের কাছে পৌঁছে, এখন আমাদের নিজের ও এই সময়ের পক্ষে অচল মনে হয়। এই উপশহর নানা উত্থান-পতন দেখেছে। শ্রদ্ধা ভক্তি ভালোবাসা দেখেছে। নদীর ঢেউয়ের মতো যে দিনগুলো চলে গেছে, সেদিন আর ফিরবে না। এই উপশহরে আমি বেড়ে উঠেছি, শিক্ষক হিসেবে এই উপশহরেই ছিল আমার জীবন ও জীবিকা। ছাত্র পড়িয়ে ভালোবাসা পেয়েছি প্রচুর। আমার যোগ্যতার চেয়ে যা অনেক বেশি। সময়ের এই বদলকে তো মেনে নিতেই হয়। তবু এই উপশহরের কোন গৌরব জনক ঘটনা ঘটলে, ভালো লাগায় দুলে উঠি।
     একসময় এখানে গান-বাজনার চর্চাও ছিল দেখার মতো। বন্ধু মহল থেকে  অনুষ্ঠানের আয়োজন হতো। গান গেয়েছেন, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়, তরুন বন্দ্যোপাধ্যায়, সবিতা চৌধুরী, শ্যামল মিত্র, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, অমর পাল, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, অংশুমান রায়, সুবীর সেন ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। মঞ্চে হাজির থেকেছেন প্রখ্যাত অভিনেতা প্রদীপ কুমার। সে একটা দিন ছিল, সংস্কৃতি মগ্নতার দিন। আজকের এই সময়ের মানুষ সেই সব দিনের মুগ্ধতার ছবি ভেবে উঠতে পারবেন না। 
     এভাবেই সবুজে-শ্যামলে, ইট কাঠ পাথরের এই উপশহরে আমার ভালোবাসা বর্তমানে দাঁড়িয়ে বারবার অতীতের দিকেই ফিরে যেতে চায়। যদিও জানি, নদীর ফিরে যাওয়া ঢেউ কখনো আর ফিরে আসে না। নদীর তীরে দাঁড়িয়ে এখন আমি তাই বহতা নদীর ঢেউ এর দিকে চেয়ে আছি।

সুনির্মল বসু । পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
লেখক পরিচিতি, লেখক সুনির্মল বসুর জন্ম ১৯৫০সালের ৩রা নভেম্বর কলকাতায়। পিতা সুবোধ কুমার বসু ও মাতা গীতারানি বসু। শিক্ষাগত যোগ্যতা, এম এ, বি,এড। অবসরপ্রাপ্ত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক। প্রকাশিত গ্রন্থ, শিকড়ে বৃষ্টির শব্দ ও ভালোবাসার কবিতা মালা। যৌথ গ্রন্থ, পাঁচে পঞ্চবান, পানকৌড়ি ও চেতক। ভারত বর্ষ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকার নিয়মিত লেখক।